এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেড়িয়ে আসার জোগাড়। কারণ সম্প্রতি ঘটনাগুলোই যে এমন ঘটছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি উঠে আসছে, যা দেখে অবাক হাইকোর্ট ও। ছেলেমেয়ে গুলোর ভবিষ্যতের কথা যেখানে, সেখানে এই ধরনের দুর্নীতির পাহাড় , সত্যি ভাবাই যায় না।
একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে। গতকাল সোমবার আদালতের নির্দেশেই পদ খোয়ালো প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গতকাল সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর সময় হাজিরা দিতে।প্রাথমিক নিয়োগের সমস্ত তছ্য খতিয়ে দেখব সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি।
বিচারপতি মনে করেন, প্রাইমারী বোর্ডের যাবতীয় কাজ ভুয়ো বলেই মনে করে আদালত। কারণ বিভিন্ন প্রশ্নে হোঁচট খায় তারা।আদালতকে কোনো না কোনো ভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করেন বিচারপতি। ইতিমধ্যেই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে প্রাইমারীর শিক্ষক পদের থেকে।
আরো পড়ুন: “আর্নিং উইথ লার্নিং”, কলেজে পরাকালীন টা’কা পাবে পড়ুয়ারা, উ’দ্যো’গ রাজ্যের
এবার সেই বাতিল পর্বের পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে পদচ্যুত করল আদালত। কিন্তু তার অপসারণের কারণ কি? সঠিক ভাবে নথি পত্র জমা না করা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুয়ো কাজকর্মের আশঙ্কাও করছে আদালত। নিয়োগ নথি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত।
এখানেই শেষ নয়, পর্ষদের আদৌ বৈঠক হয়েছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। হাইকোর্ট জানায়, বৈঠক কি আদৌ হয়েছিল?২০১১ সালে একটি এক্সপার্ট কমিটি তৈরী হয়েছিল, সেটা কিসের জন্য? কাগজপত্র এবার সমস্ত ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা হবে।