2019 সালের সেই ভয়াবহ পুলওয়ামা হামলার মতই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো শনিবার সকালে, মণিপুরে। জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হলেন অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠি। তবে বিপ্লব শুধু একা নন, জঙ্গী হামলার ফলে প্রাণ হারাতে হলো তার স্ত্রী সন্তানসহ মোট সাতজনকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মনিপুর।
শনিবার সকালের এই জঙ্গি হামলাতে অসম রাইফেলসের বাঙালি জওয়ান শ্যামল দাস শহীদ হয়েছেন। অথচ এদিন সকালেই তিনি তার স্ত্রী সুপর্ণার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। নিহত জওয়ানের মরদেহ তার পানাগড়ের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। মনিপুরের এই ঘটনাটি যখন ঘটে তখন সেই খবর সুপর্ণা দেবীর কানে পৌঁছেছিল। তবে তিনি ভাবতেই পারেননি যে তার স্বামীও সেই একই কনভয়ে রয়েছেন।
দীর্ঘ প্রায় 11 বছর ধরে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন শ্যামল দাস। তার এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তার এলাকার বাসিন্দারাও। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যত তার পাড়ায় থমথমে আবহাওয়া তৈরি হয়। শ্যামল দাসের মৃত্যুতে কার্যত গোটা গ্রামের উপর দিয়েই যেন শোকের ঝড় বয়ে গিয়েছে।
শ্যামল দাস পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন। সদ্য তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করেছিলেন। মাঘ মাসে সেই নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করার কথা ছিল শ্যামলবাবুর পরিবারের। তবে নতুন বাড়িতে আর প্রবেশ করা হয়ে উঠলো না শ্যামলবাবুর। নিথর দেহ এসে পৌছালো নতুন বাড়ির দরজায়।