বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা নিয়মিত লটারির টিকিট কাটেন ভাগ্য বদলে যাওয়ার আশায়। এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষের ভাগ্যে লটারি জেতার সুযোগ থাকে।
তাদের দলে পড়েন মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার এক গৃহবধূ। লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন ওই মহিলা। তার ভাগ্য বদলে যাওয়াতে ভীষণ আনন্দিত তার এলাকার মানুষেরা।
মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের তারামাতলা এলাকার বাসিন্দা গৌরী বিস্তার মনসা মন্দিরে পুজো করেন। তার স্বামী পেশায় ডাব বিক্রেতা। দুজনের উপার্জনে সংসার চালানো কার্যত এক প্রকার কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আরো পড়ুন: খাঁচাবন্দি চিতাবাঘকে পু’ড়ি’য়ে হ’ত্যা করলো জনগণ, অভিযোগ দা’য়ে’র ১৫০ জনের বি’রু’দ্ধে
তবে তার মাঝেই পুজো করে যে উপার্জন হতো তার মধ্যে থেকে বেশির ভাগ টাকা লটারি কেটে খরচ করে ফেলতেন গৌরী দেবী। এজন্য স্বামীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত তার।
গৌরী দেবী স্বামী এবং সন্তান কেউই তার লটারি কাটা পছন্দ করতেন না। এই নিয়ে সংসার অশান্তি হতো। কিন্তু গৌরী দেবী টিকিট কাটা বন্ধ করেননি। বৃহস্পতিবার সারাদিন পুজো করে দেড়শো টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনে ছিলেন তিনি।
দশটার সময় তার কাছে একটি ফোন যায় এবং তাকে জানানো হয় তিনি এক কোটি টাকা জিতে গিয়েছেন। প্রথমে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি।
তারপর মোবাইলের টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন। সত্যি সত্যিই কোটি টাকা জিতে গিয়েছেন তিনি। এতদিনে তার স্বপ্ন পূরণ হলো।
তিনি জানিয়েছেন তিনি বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখতেন লটারিতে প্রচুর টাকা পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে সেটা ভাবেননি। এই টাকা দিয়ে ধার দেনা শোধ করে পাকা ঘর বানিয়ে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে চান ওই গৃহবধূ।
সেইসঙ্গে কিছু টাকা মনসা মন্দিরেও দিতে চান। স্বামীকেও আর নারকেল গাছে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দিতে চান না।