সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বামীর বি’রু’দ্ধে নি’র্যা’ত’নে’র কেস ফাইল, মা’ম’লা লড়তে রক্ত বি’ক্রি করতে হাসপাতালে নি’র্যা’তি’তা

হুগলির পুরশুড়া থানার ভাঙামোড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পালের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল মধুমিতা পালের। মধুমিতার পৈতৃক বাড়ি পাণ্ডুয়া থানা এলাকায়।

বিয়ের ঠিক পরেই বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য মধুমিতাকে মারধর শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন; এমনই অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তাই নয়, অকথ্য মানসিক নির্যাতনও চলত তাঁর ওপর। ক্রমশ অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় গত বছরের নভেম্বর মাসে পুরশুড়া থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন মধুমিতা।

পুরশুড়া থানা তাঁকে পাণ্ডুয়া থানায় পাঠালে সেখানেই তিনি তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু, বারংবার দুই থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনো ফল মেলেনি। সুবিচারের আসায় শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন মধুমিতা। তবে, সেখানেও উকিলকে দিতে হবে টাকা।

এমতাবস্থায়,তিনি টাকা জোগাড় করতে কোনো উপায় না পেয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সূত্রেই সোমবার তিনি হাজির হন হাসপাতালে। আর্থিক অনটনের জেরে কিভাবে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা লড়বেন এবং কিভাবে তাঁর দুই সন্তানকে বড় করবেন তা নিয়ে কোনো কূলকিনারা খুঁজে না পেয়ে শেষে রক্ত বিক্রির পথকেই বেছে নেন তিনি।

এলাকায় এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে রক্ত বিক্রিও হয়না। তাই তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্মীরা কোনোমতে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেন।