সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আজ দেবশয়নি একাদশী, আজ থেকেই শ্রীবিষ্ণু ৪ মাসের জ’ন্য যোগনিদ্রায় যান

বছরের বারো মাসে রয়েছে মোট চব্বিশটি একাদশী তিথি। সমস্ত একাদশীই খুব ঐকান্তিকতার সঙ্গে পালন করা হয়। এই বছর ১০ জুলাই অর্থাৎ আজ রবিবার দেবশয়নী একাদশী। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশীকে সাধারণত ‘দেবশয়নী একাদশী’ বা ‘সায়নী একাদশী’ বলা হয়। তিথি হিসেবে সব একাদশীরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

এই একাদশীর অন্য আরও অনেক নাম রয়েছে – ‘পদ্ম একাদশী’, ‘আষাঢ়ী একাদশী’, ‘হরিসায়নী একাদশী’। জগন্নাথের রথযাত্রার ঠিক পরেই দেবশয়নী একাদশী। সাধারণত ইংরাজী মাসের জুন বা জুলাইতে এই তিথি পড়ে। দেবশয়নী একাদশী থেকেই হিন্দি ক্যালেন্ডারে ‘চতুর্মাস’ নামক পর্বের শুরু।

আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী থেকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি পর্যন্ত চলে চতুর্মাস। এই সময়কালে বিবাহ ও যেকোনো মাঙ্গলিক আচার পালন করা অশুভ। দেবশয়নী একাদশীর মাহাত্ম্য হল এই যে, এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু ঘুমোতে যান, এবং ঠিক চারমাস পরে ‘প্রবোধিনী বা দেবোত্থনী একাদশী’তে তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হন।

আরো পড়ুন: Iphone কেনার খু’ব ইচ্ছে? ফ্লিপকার্টে চলছে বি’রা’ট সেল, এখনই সে’রা সু’যো’গ

এই চার মাস বিষ্ণুর নিদ্রিত অবস্থায় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড রক্ষা ও পালন করার ভার থাকে রুদ্র বা মহাদেবের উপর। বামন পুরাণ অনুসারে, একদা রাজা বালি নিজের ক্ষমতার জোরে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাললোক দখল করেন। বালির হাত থেকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করার জন্য সব দেবতারা শ্রীহরির কাছে প্রার্থনা করেন।

সবাইকে রক্ষা করতে বিষ্ণু বামন অবতারের রূপ নিয়ে বালির কাছে গিয়ে ভিক্ষে চান। বালি তাঁকে যা খুশি চাইতে বলেন। তখন বামন দেবতা তাঁর পা রাখতে পারবেন এমন তিন খণ্ড জমি বালির কাছে প্রার্থনা করেন। বালি সম্মত হলে বামন অবতারে বিষ্ণু বিশাল আকার ধারণ করেন এবং দু-বার পা ফেলে স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নেন।

তৃতীয় বার পা রাখার আর কোনো জায়গা নেই দেখে বালি নিজে তাঁর মাথা বামন অবতারের পায়ের নীচে রাখেন। এর ফলে বিষ্ণু বালির প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং বালিকে বর চাইতে বললে বালি বিষ্ণুকে তাঁর কাছে পাতাললোকে থাকার জন্য প্রার্থনা করেন। বিষ্ণু সম্মত হন। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হন বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মী।

তিনি গরীব মহিলার ছদ্মবেশ ধারণ করে বালির কাছে যান এবং তাঁর স্বামীকে ফেরত চান। বালিকে ছেড়ে বিষ্ণু যখন বৈকুণ্ঠে ফিরছেন তখন তিনি তাঁকে কথা দেন যে প্রতি বছর চার মাস তিনি পাতাললোকে কাটিয়ে যাবেন। এই চার মাস তিনি যোগনিদ্রায় থাকবেন। অন্য একটি পুরাণ মতে, কয়েক হাজার বছর ধরে শঙ্খচূড়ের সঙ্গে যুদ্ধের পর ক্লান্ত হয়ে বিষ্ণু এই সময়ে যোগনিদ্রায় যান।