সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাজার হাজার সামুদ্রিক ব্যাঙের দে’হ ভে’সে এলো দীঘার সমুদ্র সৈ’ক’তে, উ’দ্বে’গ স্থানীয়দের মধ্যে

করোনাকালে লকডাউন পর্বে মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন প্রকৃতি ধীরে ধীরে নিজের পুরনো ছন্দে ফিরে আসার চেষ্টা করছিল। মানুষের দৌরাত্ম্য নেই, কোথাও কোনো দূষণ নেই, তাই প্রকৃতিও যেন ক্রমশ নতুন রূপে সেজে উঠছিল। তবে এরই মাঝে সমুদ্রসৈকতের দৃশ্য সম্প্রতি পর্যটক এবং পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ঘুম উড়িয়েছে। কারণ দীঘার সমুদ্র সৈকতে ভাসছে প্রায় লক্ষাধিক সামুদ্রিক ব্যাঙের দেহ! স্থানীয় মানুষ এগুলোকে বলেন, সামুদ্রিক ব্যাঙ।

দীঘার সমুদ্র সৈকতের জলে এমন কি সমুদ্র তটেও প্রায় হাজার হাজার মৃত ব্যাঙের শরীর দেখতে পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এত সামগ্রিক ব্যাঙ হঠাৎ করে কিভাবে মারা গেল তা ভেবে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মৎস্যচাষীদের মাছ ধরার জালে আটকা পড়েই কার্যত এগুলির মৃত্যু হয়েছে।

 • স্থানীয় মানুষ এগুলোকে বলেন, সামুদ্রিক ব্যাঙ, আর পরিবেশবিদদের ভাষায় এগুলো Puffer Fish । কেন হঠাৎ এই বিপুল পরিমাণে পাফার ফিসের মৃত্যু হল তার কারণ খুঁজছেন পরিবেশবিদরা ।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই ধরনের সামুদ্রিক ব্যাঙ বা পাফার ফিশ প্রধানত গভীর সমুদ্রের জলে বসবাস করে। খাবারের সন্ধানে তারা কার্যত সমুদ্রসৈকতের দিকে এগিয়ে এসেছিল। তবে সৈকতে এসে তারা আর ফিরে যেতে পারেনি। সমুদ্র সৈকতের দূষিত জলেই কার্যত তাদের মৃত্যু হয়েছে। দীঘার সমুদ্র সৈকত এখন মৃত ব্যাঙের শরীরে সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এই ব্যাঙগুলির কারণেই কার্যত দূষণ আরো ছড়াচ্ছে সমুদ্র তটে।

যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত ব্যাঙের শরীর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। প্রসঙ্গত, পাফার ফিশ বা সামুদ্রিক ব্যাংক খাওয়া যায় না। এ ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে মানুষের ত্বকে চুলকানি শুরু হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়ছে।