সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিসর্জন দেওয়া ঠাকুরের মূ’র্তি’কে নতুন রূ’প দেন এই মহিলা, সোশ্যাল মিডিয়া জু’ড়ে শুভেচ্ছার ছড়াছড়ি

খুব কম জন ছাড়া আমরা প্রত্যেকেই ভগবানের পুজো-অর্চনা করি। আমরা মূর্তি কিনে আনি কিংবা মাটির মূর্তি তৈরি করে ফুল, মালা সহযোগে পূজো করি। পূজার শেষে প্রচলিত নিয়মানুসারে হয় সেই পূজিত মূর্তিকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়, আর নয়তো গাছের তলায় রেখে দেওয়া হয়। আর খোঁজ রাখা হয় না পূজনীয় দেবতার মূর্তিটির এরপর কি হল। এই রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু জানেন কি এই রীতি মধ্যেই লুকিয়ে আছে মহা বিপদ।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দুজন ব্যক্তি ঠাকুর পূজো শেষ করে সেই ঠাকুরের ছবি জলে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাসিকের একজন ভদ্রমহিলা। তাঁর নাম তৃপ্তি গাইকোয়াড। তিনি তাদের কে ভগবানের মূর্তি জলে না ফেলতে বললে তারা হতাশ হয়। তিনি বলেন ফ্রেম থেকে ছবি খুলে কাগজের ছবিটি জলে ভিজিয়ে নিয়ে সার হিসেবে ব্যবহার করতে। এই ভাবেই তিনি একের পর এক ঠাকুরের মূর্তি আলাদা করে সংরক্ষণ করতে শুরু করেন।

কিন্তু হঠাৎ করে এরকম মূর্তি সংরক্ষণ কেন করছেন তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে পূজার পর মূর্তি জলে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা পুরাণে উল্লেখ আছে। কিন্তু বর্তমানে ঠাকুরের মূর্তি বিভিন্ন মার্বেল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। বছরের পর বছর ধরে এগুলো একই অবস্থায় পড়ে থাকে। দূষণের মাত্রা বাড়ে। তাই তিনি মূর্তিগুলিকে সংরক্ষণ করে সেগুলিকে পুনর্ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর মতে, শুরুতে কেউ করতে রাজি ছিলেন না। তাই তিনি মূর্তিগুলোকে পূজো করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে ভগবান সম্পর্কে কারো মনে কোনো কষ্ট না হয়। এই ঘটনাকে বলা হয় উত্তরপুজা। এই ভাবে তিনি একটি সংস্থা তৈরি করেছেন, নাম রেখেছেন সম্পূর্ণম।

একটি সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ মূর্তি মানুষ এভাবে জলে ভাসিয়ে দেয় বা গাছের তলায় বসিয়ে দিয়ে চলে যায়। তৃপ্তি দেবী এই সব ঠাকুরকে এক জায়গায় নিয়ে এসে সেগুলিকে পুনর্ব্যবহার করা শুরু করেন। সেখান থেকে ইট এবং প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরি করেন। এই কাজের ফলে ধীরে ধীরে তার কাজ চারিদিকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দূর দূরান্ত থেকে সবাই তাদের বাড়ির পুরানো ভগবানের ছবি মূর্তি তৃপ্তি দেবীর সংস্থায় দিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ হাজার মূর্তি ও ছবি তারা পুর্নব্যবহার যোগ্য করে তুলেছেন।