বাংলায় সাংগঠনিক রদবদল আনতে চলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনার পরপরই দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাদের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি গেলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার আগে রাজ্যে পুর এবং পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। অতএব দলের সাংগঠনিক রদবদল এনে নতুনদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই মর্মে একটি বিশেষ বৈঠক করার উদ্দেশ্যে আজ রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতারা দিল্লি পৌঁছেছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেই কার্যত দলের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিজেপি-র রাজ্য সংগঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বের বিচারে সভাপতির পরেই রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদ। এখন ওই পদে রয়েছেন পাঁচজন সদস্য, কলকাতার দুই নেতা সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিংহ, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং উত্তরবঙ্গের নেতা রথীন্দ্রনাথ বসু। এদের মধ্যে তিনজনকে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বের পদে সরানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে গুঞ্জন। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন সদস্য আনতে চলেছে বিজেপি।
উত্তরবঙ্গের নেতা নিখিলরঞ্জন দে, অজিত দাস রয়েছেন সে সম্ভাব্য তালিকায়। এরা দুজনই আরএসএস এবং বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। এছাড়াও বিদ্যার্থী পরিষদের প্রাক্তনী দেবজিৎ সরকারেরও বড় পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের তালিকা মহিলামুখ হিসেবে মালদহের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায়কে রাখা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
