একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবা, সেই স্কুলের নিয়োগ পত্রকে নকল করে ছেলে চাকরি করছেন। এই ধরনের অভিযোগ ওঠার পরে যথেষ্ট অবাক হয়ে গিয়েছেন বিচারপতি। এই বিষয়ে বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন এরকম ঘটনা কিভাবে ঘটেছে?
এই ঘটনা তদন্ত করতে ডিআইজি এবং সিআইডিকে আদালতে বিচারপতি তলব করেছেন। এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন সোমার রায় নামের এক চাকুরী প্রার্থী, যার অভিযোগ আর টি আই করে তিনি এই ঘটনাটি জানতে পেরেছেন।
তিনি জানতে পেরেছেন মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামের এক যুবক ভূগোলের শিক্ষকের পদে তিন বছর ধরে চাকরি করে চলেছে। ওই ব্যক্তির বাবা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ২০১৬ সালের ভূগোল বিষয়ের এসএলএসটি পরীক্ষায় অনিমেষ বসেন নি তাহলে কিভাবে এই চাকরি পেল সেই ব্যক্তি?
এই বিষয়ে এসএসসি জানিয়েছে, আতাউর রহমান নামের এক যুবকের সুপারিশ পত্রের মেমো নাম্বার ব্যবহার করে নকল একটি নিয়োগপত্র অনিমেষ তৈরি করেছে এবং সেই নিয়োগ পত্র দেখিয়ে বাবার স্কুলে চাকরি পেয়েছে অনিমেষ।
গোটা বিষয়টি শুনে হতবাক হয়ে গেছেন বিচারপতি। বিচারপতির প্রশ্ন এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে কিনা? তাঁর বক্তব্য, প্রধান শিক্ষক যদি যুক্ত না থাকে তাহলে এ ধরনের ঘটনা কখনোই ঘটতে পারে না। এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ডিআইজি এবং সিআইডিকে তলব করা হয়েছে।