Home অফবিট তরুণীর ঘাম ও চোখের জল হ’য়ে যা’চ্ছে Acid, জল গা’য়ে লাগলেই পু’ড়ে...

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তরুণীর ঘাম ও চোখের জল হ’য়ে যা’চ্ছে Acid, জল গা’য়ে লাগলেই পু’ড়ে যা’চ্ছে শরীর

সারা পৃথিবীতে যে কত রকমের রোগ রয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। মানুষের শরীরে নানা ধরণের রোগ বাসা বাঁধে। তবে এমন কিছু অদ্ভুত রোগ আছে প্রাথমিক অবস্থায় যা নির্ণয় করতে বেশ মুশকিলে পড়েন চিকিৎসকরাও। আজ আপনাদের এমনই এক অদ্ভুত রোগের কথা বলব যা শুনলে ভিরমি খাবেন আপনারাও। আর এহেন রোগের শিকার ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা ১৯ বছরের এক তরুণী অ্যাবি।

শরীরে ঘাম হওয়া একটি খুব সাধারণ ব্যপার। কিন্তু ঘামে ভেজা শরীরের অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে বিষয়টা ঠিক কেমন দাঁড়ায় বলুনতো। শুনেই ভাবছেন তো এও আবার হয় নাকি! ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা অ্যাবির শরীরের ঘাম শরীরের বাইরে এলেই তা অ্যাসিড হয়ে যায়, তাতেই পুড়ে যায় শরীরের ঘেমে যাওয়া অংশ।

শুধু তাই নয়, সাধারণ তাপমাত্রার জলে হাত দিলেও, হাতের সেই অংশটুকু জ্বলে যায়। তাই তার কষ্ট হলেও তিনি কখনও কাঁদতে পারেন না। কারণ চোখের জল গাল বেয়ে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে গাল পুড়ে যায়। ঘামের ভয়ে সামান্য গরমেও তার পক্ষে বাড়ির বাইরে যাওয়া বিপদ। আর এইসব কারণেই প্রতিমুহুর্তে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি।

আরো পড়ুন: এই বি’স্ফো’র’ণে’ই ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ ছি’ন্ন-ভি’ন্ন হ’য়ে যায়, দেখুন ভিডিও

এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর ব্রিটেনের চিকিৎসকদের বক্তব্য, এটি একটি বিরল রোগ, যার নাম Aquagenic Urticaria। এই রোগের ক্ষেত্রে শরীরের কোনও অংশে যদি সাধারণ তাপমাত্রা বা ঠান্ডা জল লাগে তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গা পুড়ে যাবে। তবে জল পানে কোনো সমস্যা নেই অ্যাবির। শরীরের মধ্যে সেই জলের জন্য কোনো সমস্যা হয় না তার।

তবে স্নান বা অন্য কাজের ক্ষেত্রে তার যত সমস্যা। তাই নিমেষের মধ্যে স্নান করে তাঁকে একেবারে শুকনো করে গা মুছে ফেলতে হয়। কিন্তু তাতেও সারা শরীরে লাল লাল র‍্যাশ বের হয়। অ্যাবি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে তাঁর এই সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন কোনও শ্যাম্পু বা সাবান থেকে হয়তো স্কিন প্রবলেম হয়েছে।

আরো পড়ুন: পেয়েছিলেন মোটা টা’কা’র প্র’স্তা’ব, কিন্ত গরিব স্টুডেন্টদের পড়িয়ে আ’জ ভারতের বি’খ্যা’ত শিক্ষক

সেই অনুযায়ী বেশ কিছু দিন চিকিৎসাও চলেছিল। কিন্তু অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও এই সমস্যার কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে তাঁর এই রোগ নির্ণয় করেন চিকিৎসকরা। এখন তিনি সবসময়ে জলের থেকে অনেক দূরে থাকেন। স্নান করা থেকেও নিজেকে বিরত রাখেন। কিন্তু বৃষ্টির সময় বা বর্ষাকালে ভীষন সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে।