শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভ কিছু কম নয়। মমতা সরকারের আমলে হাতে গোনা যে ক’টি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে, সবেতেই কার্যত ব্যাপক দুর্নীতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঢিলেমোসহ আরো বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। অথচ সরকার নির্বিকার। এই সরকারের আমলের সবথেকে বড় অস্বস্তির কারণ এবং ব্যর্থতা হয়ে উঠেছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
বছরের পর বছর ধরে চাকরি প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন, অথচ রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানতে কার্যত অপারগ স্কুল সার্ভিস কমিশন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে তাই জল্পনা বেড়েই চলেছে। একদিকে রাজ্যের কোটি কোটি চাকরিপ্রার্থী যখন বছরের পর বছর ধরে চাকরির আশায় নিত্যদিন হাপিত্যেশ করছেন, অন্যদিকে তখন রাজ্য সরকার নিজের আসন সামলাতেই ব্যস্ত।
বিগত ৮ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া! আট বছর ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। সরকার এখন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ধরে রাখতে মরিয়া! তাইতো চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোটা মাইনের চাকরির ব্যবস্থা করে দিল রাজ্য সরকার।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত সমালোচনাও করছে বিভিন্ন মহল। সমালোচকদের অভিযোগ, অবসর নেওয়ার পরেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনেই চাকরি দেওয়া যায়! শুধু শিক্ষক নিয়োগ করা যায়না! সমালোচকদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে ঝুলে আছে আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সময়ও এখন কার্যত লজ্জা পাচ্ছে। অথচ সরকারের কোনও লজ্জা নেই!
