সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়ম আ’রো স’হ’জ সরল করলো রাজ্য সরকার, স’ম’স্যা মিটলো অনেকের

রাজ্যের মহিলাদের সুবিধার্থে প্রতিমাসে তাদের অর্থ সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। সম্প্রতি এই প্রকল্পে নিয়মে সরলীকরণ আনলো রাজ্য। নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর এর তরফ থেকে সম্প্রতি প্রত্যেক জেলাকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলেই লক্ষীর ভান্ডারের জন্য নাম অনুমোদন হবে মহিলাদের।

শুক্রবার নবান্নের তরফ থেকে এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।এতে কার্যত অসম্পূর্ণ আবেদন পত্র নিয়ে জটিলতা কমবে বলেই মনে করছে নবান্ন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনই খতিয়ে দেখবে আবেদনকারীরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য কিনা। এর আগে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন এর নিয়ম হিসেবে জানানো হয়েছিল যে স্বাস্থ্যসাথী, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র যদি নাও থাকে তবুও তারা আবেদন করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রায় 35 লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ ছিল। যার মধ্যে আট লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টের ভালিডেশন না থাকায় তারা আর্থিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। 26 লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীর আবেদন পত্র ছিল অসম্পূর্ণ। তাই এই আবেদনকারীদের সরকারের তরফ থেকে ধার্য করা আর্থিক সহায়তা কিভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল নবান্ন। অবশেষে নিয়মের সরলীকরণ এনে সেই প্রশ্নের জবাব দিলো নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে 30 শে অক্টোবর এর মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।