সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পদবি ছাড়াই ছেলের নাম রাখলেন রায় দম্পতি, বি’র’ল ঘ’ট’না কল্যাণীতে

সদ্যোজাত শিশুর জন্মের পর বাঁধাধরা নিয়ম অনুযায়ী নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের পদবীও সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। নামের পদবীই অনেক সময় হয়ে ওঠে শিশুটির পরিচয়। কিন্তু এই নিয়ম কি জাত-পাতের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দেওয়া নয়? একবিংশ শতাব্দীতেও যেখানে চারিদিকে জাতপাত নিয়ে ভেদাভেদ হয়, ধর্মীয় ভাবাবেগে নিয়ে খেলা হয়, সেখানে কল্যাণী পৌরসভা 14 নম্বর ওয়ার্ডের রায়দম্পতি নিলেন অভিনব উদ্যোগ। তারা তাদের পুত্র সন্তানের নাম রাখলেন পদবী ছাড়াই।

সদ্যোজাত শিশুটির নাম রাখা হয়েছে প্রিয়ার্ণব তেজ। শিশুটির বাবা প্রণব রায় বলেন মানুষের মধ্যে যাতে জাত পাতের ভেদাভেদ না আসে, ধর্মীয় ভেদাভেদ না আসে তার জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। মানুষ তার কর্মের মধ্যে দিয়ে পরিচিত হোক। পদবীর মাধ্যমে নয়। নাম শুধুমাত্র একটা আইডেন্টিটি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তারা মনে করেন। পদবী যোগ করলে সেটাকে ভারী করে তোলা কেন?

এই দম্পতি ছেলের প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে বাড়ির 6 জন সদস্যের মরণোত্তর দেহ দান করে ফেলেছেন। কল্যাণী মেডিকেল কলেজে তারা মরণোত্তর দেহ দান করেছেন। প্রণববাবুর বাবা একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। মৃত্যুর পর তাদের দেহ যদি কোনো মানুষের কাজে লাগে তাহলে তাদের গোটা পরিবার ধন্য হবে। ওই শিশুটির বাবা একজন প্রকৌশলী। মা স্কুল শিক্ষিকা। তিনি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অতিরিক্ত স্তন্যদুগ্ধ কলকাতার মিল্ক ব্যাঙ্কে দান করেছেন।

এছাড়াও ছেলের জন্মদিনের 5 দিন আগে তিনি নিজের লম্বা চুল থেকে 14 ইঞ্চি কেটে নিয়ে ক্যান্সার রোগীদের দান করেছেন। তিনি বলেন তার দিদিমা ক্যান্সার রোগী ছিলেন। চুলের ব্যাপারে তিনি খুব সৌখিন ছিলেন। তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে চুল কেটে ফেলতে হয়। দিদার কষ্টটা তার মনে রয়ে গিয়েছে। আজ এই সমাজে এমন অনেক কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন তারা।