সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফের পর্যটক শু’ন্য দীঘা সহ তাজপুর-মন্দারমণি, হোটেল ব’ন্ধ রা’খ’বে’ন মালিকেরা

করোনা আবহে পর্যটকশূন্য দিঘা থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিও ।এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুরে অবস্থিত হোটেলের মালিকরা। ব্যবসায় মন্দা ও আর্থিক অবনতির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিতে চলেছেন তাঁরা।

পুনরায় করোনার ভয়াবহ দাপটে ফের কার্যত পর্যটক শূন্য হতে চলেছে সৈকত শহর। আর এই আবহে এবার হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই জনসমাগমে ভরপুর ছিল দিঘার সমুদ্র সৈকত। মুখে ছিল না মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বিধি উঠেছিল সিকেয়। সমুদ্রের বুকে উদ্দাম, বেপরোয়া বিচরণ পর্যটকদের। বর্তমান ছবির সঙ্গে সেই ছবির মিল খুঁজে পাওয়া দুস্কর। হোটেল মালিক সংগঠনের অভিযোগ, যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে দিঘায় হোটেলে ঘর পেতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা টিকার দুই ডোজ,তাই পর্যটকরা আসতে চাইছেন না অনেকেই।

এই পরিস্থিতিতে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল মালিকরা সম্মিলিত এক বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের দাবি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খরচ ও কর্মীদের বেতন-বাবদ টাকা মেটাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত পাত্র বলেন, পর্যটকদের দেখা প্রায় নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের বিল দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠছে। স্টাফদের বেতন দিতে পারছি না। তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝির মতে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫০ শতাংশ রাখতে বলেছিলাম, কেউ ৮০ – ১০০ শতাংশ পর্যটক রেখেছিলেন, হোটেল বন্ধের পক্ষপাতি নই। ওদের জন্য যদি করোনা ছড়ায় সেটাও দেখা উচিত। আলোচনায় বসাই শ্রেয় মনে করছি। এছাড়াও জেলাশাসকের দাবি, হোটেলের রেজিস্টারে কারচুপির ঘটনাও নজরে এসেছে । আগামী দিনে ‍হোটেল কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।