প্রথম নির্বাচন, তারপর উপনির্বাচন, কোনভাবেই জয়ের আশা দেখছে না বিজেপি। তাই এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবার জায়গা বেছে নিতে চাইছে বিজেপি। কলকাতা পৌর ভোটের আগে এমনই একটি লক্ষ্য নিয়ে আসতে চলেছে প্রধান বিরোধী দল। কলকাতা যাতে কোনোভাবেই তৃণমূলের প্রধান বিরোধী পার্টি সিপিএম না হয়ে ওঠে, সেদিকে কড়া নজর বিজেপির।
দলীয় সূত্রে খবর অনুযায়ী, কলকাতার সমস্ত নেতাদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতৃদ্দের মত অনুযায়ী, ২০১৫ সালে কলকাতা পৌরভোটে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল সিপিএম। এবার প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে হবে বিজেপিকে। কলকাতায় গেরুয়া সংগঠন সেই ভাবে শক্তিশালী নয়। গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে হাঁটতে হয়েছিল বিজেপি কে।
দলের এক শীর্ষ নেতাদের কথায়, কলকাতায় শাসক দলের সঙ্গে পাল্লা দেবার মত সংগঠন বিজেপির নেই। তাই অন্তত প্রধান বিরোধীদলের তকমাটা থাকলেও কর্মীদের মনোবল কিছুটা হলেও বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে পৌরসভার ভোট পরিচালনা করার জন্য চারটি কমিটি তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্বে থাকবেন কল্যান চৌবে, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, তুষার কান্তি ঘোষ।
রাজ্য সরকারের পৌর দপ্তরের প্রস্তাব মেনে নিয়ে আগামী ১৯ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে কলকাতা এবং হাওড়াতে। এরইমধ্যে হাওড়া থেকে বালি পৌরসভাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভায়। এই পৌর ভোট নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে ভিন্ন মত। সব পৌরসভার ভোট একসঙ্গে করতে হবে এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য অনুযায়ী, নোটিফিকেশন অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর ভোট করাতে চায় সরকার। কিন্তু আমি বলছি সেটা হবে না। কলকাতার কি হবে সেটা পরে দেখছি”। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন,”প্রশাসন যদি মনে করে উন্নয়নের স্বার্থে বালির নিজস্ব পৌরসভা হবে, তাহলে বিজেপির কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। এটি পুরোপুরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত”।