তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে টানা ৬৫ ঘন্টা জেরা করার পর গ্রেপ্তার করল সিবিআই। সিবিআই এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে রোগ রয়েছে তারা। তাছাড়া তদন্তে অসহযোগিতা করা ও তথ্য প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তাকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই আরো জানিয়েছে বিধায়কের বাড়ি থেকে ৩০০০ পাতার উপরে নথি পাওয়া গিয়েছে। এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো ৮ থেকে ১০ জন বিধায়কের নাম ও তার সাথে নথির হদিস মিলেছে।
এখানেই শেষ নয়, যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সেখানে মুর্শিদাবাদসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রার্থীদের নামও খুঁজে পাওয়া গেছে। এদিকে বিধায়কের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
আরো খবর: ফের নতুন করে ব’ন্ধ থা’কা রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে, জেনে নিন রুট
জীবনকৃষ্ণ তৃণমূলের বিধায়কের বাড়িতেই চলত নিয়োগ দুর্নীতির র্যাকেট। তাছাড়া চাকরি-প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করার জন্য নেওয়া হতো সাত থেকে আট লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই জীবনকৃষ্ণ তরফ থেকে যে সমস্ত নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
অনুমান করা হচ্ছে জীবনকৃষ্ণের সামনে বসিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাছাড়া জীবনকৃষ্ণ গোয়েন্দাদের হাত থেকে ফোন নিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে এই তদন্তে।
তবে অনেক চেষ্টার পর ফোন উদ্ধার করা গেলেও ফোনের সুইচ অন করা যায়নি। হয়তো সেই ফোনকে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হতে পারে, যেখান থেকে আরো নতুন নতুন তথ্য হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।