Home অফবিট সন্তানরা গ’র্ভ’পা’ত করাতে চাপ দিলেও নিজ সাহসে ৬৮ বছর ব’য়’সে মা হলেন...

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সন্তানরা গ’র্ভ’পা’ত করাতে চাপ দিলেও নিজ সাহসে ৬৮ বছর ব’য়’সে মা হলেন বৃদ্ধা

একটা চলিত প্রবাদ আছে যে, ‘ বয়স তো একটা সংখ্যা মাত্র ‘। জীবনে কোনো কিছু ইচ্ছের পিছনে কোনোদিনও বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না এটা অনেকেই মনে করেন অনেকে বলে থাকেন কিন্তু মানুষ এটা মেনে নিতে খুব কমই পারেন। একটা ওয়েস্টার্ন পোশাক একজন বয়স্ক মানুষ পড়লেই তাকে বলা হয় যে এটা কি তার এসব পড়ার বয়স। আবার কোনো বৃদ্ধ যদি পাহাড়ে ওঠার বাসনা করে তাঁকে বলা হয় তাঁর শরীর সাথ দেবে না তাঁর বয়স হয়েছে। এসব না যাওয়াই ভালো।

কিন্তু এভাবে মানুষের ইচ্ছে গুলো কি দমিয়ে দেওয়া সমীচীন? কখনোই নয়। আর তার একটি আদর্শ উদাহরণ হলো পূর্ব চীনের এক দম্পতি হুয়াং উইপিং ও তিয়ান জিনজু। তাঁরা তাদের ইচ্ছের গুরুত্ব দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স টা কোনো বড়ো বিষয় নয়। আসলে এই ঘটনাটা একটু পুরনো। এই দম্পতির মধ্যে হুয়াং উইপিং ৭১ এর বৃদ্ধ ও তিয়ান জিনজু ৬৭ বছরের বৃদ্ধা।

কিন্তু তারা তাদের ওই বয়সেই হঠাৎ জানতে পারেন যে তিয়ান অ’ন্তঃ’স’ত্ত্বা। আর এই নিয়েই তাদের জীবনে সমস্যা শুরু হয়। কারণ, তাদের প্রায় বছর ৪০ এর দুই সন্তান রয়েছে। আর তাদের ছেলে মেয়েরা এটা শুনে এতটাই বিরক্ত হন যে তিয়ানকে গ’র্ভ’পা’ত করার কোথাও বলেন। রীতিমত চাপ দিতে থাকেন তারা। কারণ ওই দম্পতির ছেলে মেয়ের বাচ্চাও আছে।

আরো পড়ুন: মাসি টুইঙ্কেলকেও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে টে’ক্কা দে’বে ডিম্পল-রাজেশ খান্নার নাতনি

তারা এই বয়সে তাদের বাবা মার আরো একটি বাচ্চা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে না। কিন্তু ওই দম্পতি তাদের কথা শোনেন নি। তারা শেষ অবদি মা বাবা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন হুয়াং উইপিং ও তিয়ান জিনজু। তিয়ান নিজেই এক জন শিশু চিকিৎসক ছিলেন। তিনি নিজের চিকিৎসা করে দেখেছেন তিনি জন্ম দিতে সক্ষম কোনো সমস্যা নেই।

বরং গ’র্ভ’পা’ত করতে গিয়ে তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তারা তাদের বাচ্চাটা জন্ম দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন। এবং পৃথিবীর আলো দেখে ওই একরত্তি। ওই দম্পতি মেয়ের নাম রেখেছেন তিয়ানচি। স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ স্বর্গের উপহার। কন্যার তৃতীয় জন্মদিনে দম্পতি তাদের জীবনের এই প্রতিকূলতার কথা শেয়ার করেন।

তবে বর্তমানে তাদের ছেলে মেয়েরা ছোট্ট বোনকে মেনে নিয়েছে সেটাও জানায় তারা। তাদের নাতি নাতনিরাও ছোটো পিসিকে পেয়ে খুশি সে কথাও বলেন ওই দম্পতি। আর তাঁদের এই গল্প যেনো একটা শিক্ষা দিয়ে যায় আমাদের এই তথাকথিত সমাজে। কোনো কিছুই তাই বয়সের ওপর নির্ভর করে না তারা প্রমাণ করে দিলেন।