একদিকে নিম্নচাপ অন্যদিকে ঘূর্ণাবর্ত, দক্ষিণ 24 পরগনা জুড়ে অবিরাম বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস বয়ে চলেছে। সোমবার সারা রাত মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এক টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগরের বেশকিছু নিচু এলাকা। এর মধ্যেই আবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল এসে পড়ায় রীতিমতো আতংকে দিন গুনছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষেরা। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জলে ডুবে আছে পুকুর এবং চাষের জমি। আজ রাত থেকে কোটালের জন্য নদী এবং সমুদ্রের জলের স্তর আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় তাই প্রহর গুনছে সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই একটানা বৃষ্টির ফলে সুন্দরবন জুড়ে ফেরি পরিষেবা অনিয়মিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচুর কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হয়ে গেছে এক টানা বৃষ্টির ফলে। তার মধ্যে এখনো বৃষ্টি রয়েছে অব্যাহত। প্রশাসন বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ গঙ্গাসাগরে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইতিমধ্যেই। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহাকুমাতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেচ, বিদ্যুৎ, পূর্ত এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে শুকনো খাবার, পানীয় জল এবং ট্রিপল।
প্রসঙ্গত, সোমবার টানা বৃষ্টির পর এখনো মঙ্গলবার তা একইভাবে বৃষ্টি অবধারিত। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন কোস্টাল থানার পুলিশ। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনার কথা এখনি জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর। ফলে আরো কিছু ঘন্টায় যে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের আতঙ্ক আরো বেশী বাড়তে পারে, তা বলাই বাহুল্য।