সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জাওয়াদের উপর চে’পে বসেছে ভ’রা কো’টা’ল, উপকূল এলাকাগুলিতে জা’রি স’ত’র্ক’তা

একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর! এমনিতেই জাওয়াদের আশঙ্কায় ভুগছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। এবার তার উপরে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ভরা কোটাল। অমাবস্যার ভরা কোটালের প্রভাবে হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে। সঙ্গে নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠবে। নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি ফের একবার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

এমনিতেই এর আগে ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলা এবং উড়িষ্যা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ উপকূল অঞ্চল। এখনো পর্যন্ত একাধিক নদী বাঁধ মেরামত করা হয়নি। এর উপর আবার জাওয়াদ এবং তার সঙ্গী ভরা কোটালের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে উপকূলবর্তী গ্রামবাসীদের। নতুন বিপদের সংকেত দেখছেন তারা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ সকাল থেকেই কলকাতাসহ রাজ্যের আকাশ মেঘলা। শনিবার পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। এছাড়াও কলকাতাতে চলবে বৃষ্টিপাত।

ঘণ্টায় 30 থেকে 40 কিলোমিটার বেগে বয়ে যাবে ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার কলকাতাসহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

সোমবারেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বজায় থাকবে। সোমবার 30 থেকে 40 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। এছাড়া উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।