সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তাজমহলের মতো বা’ড়ি বা’নি’য়ে স্ত্রীকে উ’প’হা’র দিলেন স্বামী

শুধু যে শাজাহান মমতাজকে ভালোবাসতেন তা নয়। শাজাহান মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বানিয়েছিলেন তাজমহল। আর এবার তাজমহলের আদলে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রীকে উপহার দিলেন মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দপ্রকাশ চোকসি৷ আনন্দপ্রকাশ পেশায় একজন শিক্ষাবিদ। তিনি একটি বিশেষ বাড়ি তৈরি করেছেন৷ আর সেই বাড়ি উপহার দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মঞ্জুষাকে৷ বাড়িটিতে চারটি শোওয়ার ঘর রয়েছে। তবে বাড়ি বানানোর আগে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে আগ্রা গিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা বিস্ময়কর স্থাপত্য তাজমহল দেখার জন্য৷ সেখানে গিয়ে তাজমহলের গঠনশৈলী, কারুকার্য তারা খুঁটিয়ে দেখেন৷ তাঁদের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন৷

প্রথমে আনন্দপ্রকাশের ইচ্ছে ছিল ৮০ ফুট লম্বা একটি বাড়ি তৈরি করার। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি৷ এর পরই তিনি ঠিক করেন তাজমহলের রেপ্লিকা বানাবেন। ইঞ্জিনিয়াররা সেই অনুযায়ী তাজমহলের একটি থ্রিডি ইমেজ তৈরি করেন৷ আর তারপর তিন বছর ধরে বাড়িটি তৈরির কাজ চলে। আনন্দপ্রকাশের ধারণা, তাঁর এই তাজমহল-বাড়ি পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে৷

বাড়ি তৈরিতে কোনও খামতি বা ত্রুটি রাখতে চাননি আনন্দপ্রকাশ। তাই শুধুমাত্র আগ্রা নয়, নির্মাণকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ চোকসি ঔরঙ্গাবাদেও গিয়েছিলেন ‘বিবি কা মকবারা’ দেখার জন্য। ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে এই স্থাপত্য নির্মাণ করিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী দিলরস বানু বেগমের স্মৃতিতে৷ এই স্থাপত্যেই শায়িত দিলরসের সমাধি৷ তাজমহলের সঙ্গে বিবি কা মকবরার সাদৃশ্য লক্ষণীয়৷

ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ চোকসি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘মিনার-সহ বাড়িটি ৯০ বর্গমিটার জমি জুড়ে বিস্তৃত৷ মূল কাঠামোটি তৈরি করা হয়েছে ৬০ বর্গমিটার জায়গার উপর৷ স্থাপত্যের অন্যতম আকর্ষণ গম্বুজটি ২৯ ফুট উঁচু৷ বাড়ির প্রতি তলায় আছে দু’টি করে শোওয়ার ঘর৷ এ ছাড়াও বাড়িতে আছে রান্নাঘর, লাইব্রেরি এবং মেডিটেশন রুম৷’’