প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও দিব্যি সরকারি চাকরি করছে তারা। এবার এই গোপন খবর প্রকাশে এসেছে। যার কারণেই কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই তাদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
৪ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডিভিশনাল বেঞ্চের তরফ থেকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে আদালতে। সেখানে বলা হয়েছে এদের কারো নাম ছিল না মেধাতালিকায়।
কোনরকম সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে। শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছু শুনে, তার ওপরে বিচার করে বিচারপতি জানায়, ও সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে নির্দেশ দেয়। অবিলম্বে সেই ৪ জনের চাকরি বাতিল করতে হবে। এবং এতদিন যা বেতন পেয়েছে সেটাও অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে তাদের।
চারজন প্রার্থীর নাম অভিজিৎ রায়, অরুণকুমার সিনহা, সাকিল ইমাম ও দিব্যেন্দু সমাদ্দার। পরবর্তীতে জানা যায়, স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন সারমিন নাহার-সহ আরও আট চাকরিপ্রার্থী ।২০১৬ সালের পরীক্ষায় তাদের নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে।
কিন্তু তারা চাকরি পায়নি, বরং ঐ চারজন চাকরি পেয়ে যায়। এই অবস্থা দেখে বাকি আটজন দ্বারস্থ হয় আদালতের। সেই মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানায়, চারজন প্রার্থীর চাকরি বাতিল করে, সারমিন নাহার-সহ আটজনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা যায় কি না। সেই নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।