সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রসেনজিতের রিজেক্ট করা সিনেমাতে কা’জ করেই আ’জ সবথেকে ব’ড়ো সুপারস্টার সালমান

কপালের নাম গোপাল। সত্যি কপালে না থাকলে সেই জিনিস পাওয়া যায় না। আবার কপালে থাকলে অনেক সময় নিজের হাতে অন্য কে প্রতিষ্ঠা করে দেওয়া যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় কয়েক দশক ধরে রাজত্ব করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যিনি আজও অসাধারণ অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। অন্যদিকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ভাইজান হলেন সালমান খান। তিনি অজও নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সালমান খানের যোগসুত্র কোথায় এই প্রশ্ন আপনার মনে উঠতেই পারে। আসলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলিউডের সালমান খানের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন একসময়। কথাটা হয়ত একেবারে অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে আপনার।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সালমান খানের কার্যত যোগাযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। তাহলে কি করে এটা সম্ভব হল। আসলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় না থাকলে সালমান খানের বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়তো আরো কিছুটা সময় লেগে যেত। তার সংগ্রামের পথ মসৃণ করে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আসলে মেনে পেয়ার কিয়া এবং সাজন ছবির প্রস্তাব প্রথম এসেছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তবে টলিউড ছেড়ে একেবারে বের হতে চাননি প্রসেনজিৎ সেই সময়ে। যদিও বেরোলে হয়তো তিনি আজকে আরো অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারতেন।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নাকচ করে দেবার পর এই দুটি সিনেমার প্রস্তাব চলে যায় সালমান খানের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সালমান খান এই প্রস্তাব গ্রহণ করে নেন আর বাকিটা ইতিহাস, না বললেও চলে। টলিউডে যখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দুর্দান্ত অভিনয় করছেন তখন, তার কাছে এই দুটি ছবির অফার এসেছিল। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে এতটাই ভালবাসি যে তিনি কোনোভাবেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে ছেড়ে যেতে চাননি। সেই সময় এই দুটি সিনেমার অফার তিনি ছেড়ে দেবার পর সালমান খানের কাছে চলে যায়। সালমান খান তখন ছিলেন একজন স্ট্রাগলিং অ্যাক্টর। এই দুটি সিনেমাতে অভিনয়ের পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কোনদিন। আজ যার সাথেই সারা বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতির পেছনে রয়েছে একজন বাঙালি তা ভাবলেই গর্বে বুক ফুলে যায়।