সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জলমগ্ন গো’টা এ’লা’কা, খানাকুলে উদ্ধার কা’জে না’ম’লো ভারতীয় সে’না’র হেলিকপ্টার

কদিন ধরে তো আর রাজ্যে কম বৃষ্টি হলো না। এর কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে; চারিদিকে তৈরী হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নিম্নচাপের জেরে গত সপ্তাহের ব্যাপক বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে উঠেছে হুগলির খানাকুল সহ আরামবাগের অসংখ্য গ্রাম। বৃষ্টিপাতের দোসর হয়ে উঠেছে দুর্গাপুর ব্যারেজ সহ একাধিক ড্যাম থেকে ছাড়া জল। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জলে খানুকুলের একাধিক গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি । গ্রামগুলোতে হু হু করে জল ঢুকছে। ফলে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে, যাতায়াত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, রাজ্যের একাধিক গ্রামে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থাও। স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের। তাই এবার নামল ভারতীয় সেনা।

এই প্রথম আরামবাগে সেনাবাহিনীর কপ্টার নামিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকেই, খানাকুলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীর কপ্টার। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা বাঁধের ধারে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারে যথেচ্ছ সাহায্য করে। ধীরে ধীরে কিছু গ্রামবাসীদের নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

সূত্রের খবর, হুগলীর খানাকুল থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ই রকমের ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এলাকার গ্রামবাসীদের। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের জেরে গ্রামীণ হাওড়া; পশ্চিম বর্ধমান; ঝাড়গ্রাম জেলার একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে একাধিক নদীতে বাড়ছে জল।

যেহেতু দুর্গাপুর ব্যারেজের জলধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম; তাই জলের চাপ বাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে বন্যায় দেখা দিয়েছে খানাকুলে। ইতিমধ্যে নদীজলে বিঘের পর বিঘে চাষজমি; পুকুর ও প্রচুর ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। জলবন্দি মানুষজনকে উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়ে গেছে।