গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য তিথিতে। আজ ৬ মে শুক্রবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গেল।
এই পূণ্যলগ্নে সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এই বছরের মতো সকল পূণ্যার্থীদের দর্শনের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হল কেদারনাথ মন্দিরের দ্বার।
এরপর বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা খুলতে চলেছে আগামী ৮ মে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। আর তারপরই উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: ঋতুপর্ণা জিলিপির থেকেও প্যাঁচালো, বি’স্ফো’র’ক ম’ন্ত’ব্য করে শিরোনামে খরাজ
যেহেতু করোনা অতিমারীর কারণে এর আগের দু-বছর চারধাম যাত্রা ব্যাহত হয়েছে তাই এবার আশা করা যাচ্ছে যে এই বছর বহু পূণ্যার্থী সমাগম হবে চারধাম দর্শনে।
গোটা কেদারনাথ মন্দির ১৫ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাবা কেদারনাথের প্রথম দর্শন পেতে মন্দির খোলার সময় ১০ হাজারেরও বেশি পূণ্যার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
প্রথম পুজো দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে। প্রচলিত বিশ্বাস, এই মন্দিরের প্রদীপ কখনও নেভেনা। শীতকালে মন্দিরের দরজা বন্ধ করার সময় এই প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং এত মাস পর যখন মন্দিরের দরজা খোলা হয় তখনও দেখা যায় সেই প্রদীপ জ্বলছে।
শীতকালে দেবতারা নাকি স্বর্গ থেকে নেমে এসে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন বলে ভক্তরা বিশ্বাস করে থাকেন। মন্দিরের দরজা প্রথম খোলার পর সেই আগুনের দর্শন পাওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আর যারা সেই প্রদীপ দর্শন করতে পারেন, তাঁদের আর পুর্নজন্ম হয় না বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে।
আরো পড়ুন: প্র’য়া’ত হলেন KGF খ্যা’ত স্টার অভিনেতা, শো’ক’স্ত’ব্ধ অনুরাগীরা
আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল কেদারনাথ মন্দিরের কিছু অজানা তথ্য :
• দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ ও পঞ্চ কেদারের অন্যতম এই কেদারনাথ মন্দির। শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই মন্দিরের দরজা ভক্তদের দর্শনের জন্য খোলা থাকে।
• সমুদ্রতল থেকে ৩৫৮৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কেদারনাথ। শীতে কেদারভূমে যেমন প্রচণ্ড ঠান্ডা, তেমনই বর্ষায় অঝোরে বৃষ্টি পড়ে।
• আদি শংকরাচার্য এই মন্দিরের নির্মাণকর্তা। এই মন্দিরের তিনদিক পাহাড়বেষ্টিত। একদিকে রয়েছে ২২ হাজার ফুট উঁচু কেদারনাথ পাহাড়, আর একদিকে ২১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচু স্পেন্ডকুণ্ড এবং অন্যদিকে ২২ হাজার ৭০০ ফুট উঁচু ভারত কুণ্ড।
আরো পড়ুন: ভ’য় ও ল’জ্জা’য় গু’টি’য়ে থাকেন এরা! খুব চা’পা স্বভাবের হ’য়ে থাকে এই রাশির লোকেরা
• এখানে মন্দাকিনী, মধুগঙ্গা, ক্ষীরগঙ্গা, সরস্বতী এবং স্বর্ণগৌরী – এই পাঁচটি নদী মিলিত হয়েছে। যদিও এই পাঁচ নদীর মধ্যে চার নদীর এখন আর কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও অলকানন্দার শাখা নদী মন্দকিনী এখনও বয়ে চলেছে।
• প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব এখানে তাঁর ভক্তদের দর্শন দেন।