বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণের মধ্যেই আসছে অক্টোবর মাসের এক নতুন উৎসব। সম্প্রতি জগদ্ধাত্রী উৎসব পালিত হয়েছে। গতকাল পালিত হয়েছে কার্তিক পুজো। যদিও উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি। এবার রাসযাত্রা শুরু হচ্ছে। বৈষ্ণব ধর্মের সব থেকে বড় উৎসব হলো রাস। আপাতত রাজ্যজুড়ে এই উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে।
ভক্ত এবং ভগবানের মিলনের উৎসব রাস যাত্রা। শ্রীকৃষ্ণ কার্তিক পূর্ণিমা রাতে গোপিনীদের যমুনার তীরে আহ্বান করে তাদের সঙ্গ দান করেন। তাদের নিয়ে ঘিরে নাচ করেন। বৈষ্ণব ধর্মের উৎসব আনন্দের প্রতীক। কৃষ্ণ এদিন গোপিনীদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন। তাদের সকল দুঃখ কষ্ট দূর করেছিলেন। তাই এই বিশেষ তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধার আরাধনা করা হয়ে থাকে।
চলতি বছরের রাসযাত্রা পালন করা হবে 19 নভেম্বর। বৃহস্পতিবার সকাল 11 টা 33 মিনিটে পূর্ণিমা শুরু হবে। দুপুর 1 টা 18 মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ধামের শ্রী শ্রী কৃষ্ণ এবং শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর রাস যাত্রা হয়। নবদ্বীপের শ্রী শ্রী রাধামোহন জিউর মন্দিরে রাসলীলা হয়।
এছাড়াও শান্তিপুরে গোস্বামী বাড়িতে, কোচবিহারের রাস উৎসব, পশ্চিম দিনাজপুরে বালুরঘাটে, বাঁকুড়া, নদিয়া , ভাজনঘাট গ্রামে, বীরভূমের পাহাড়পুর, মেদিনীপুরেও মহা ধুমধাম করে রাসযাত্রার আয়োজন করা হয়।