জন্ম কুণ্ডলী এবং কোষ্ঠী মিলিয়ে বিয়ে করতে বিশ্বাসী আমাদের হিন্দু ঘরের মানুষেরা। অনেকেই মনে করে, বিয়ে সুখকর হবে শুধুমাত্র কুষ্ঠি মিলন হলে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সব কিছু মিলে গেলেও শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হয় না। আধুনিক সমাজে সব থেকে জরুরি হলো সুপাত্র এবং সু পাত্রী সন্ধান করা। তার থেকেও বেশি জরুরি হলো হবু নবদম্পতির স্বাস্থ্য। তাই বিয়ের আগে বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত, এটি শুধুমাত্র যে বিবাহিত জীবন সুখের হবে তাই নয়, আগামী দিনে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।
এইচআইভি পরীক্ষা: এটি অনস্বীকার্য একটি পরীক্ষা, যা বিয়ের আগে করা উচিত প্রত্যেক ছেলে মেয়ের। বিয়ের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে সঙ্গীর কেউ hiv-positive কিনা।
ডিম্বাশয় পরীক্ষা: ত্রিশের কোঠায় যে মহিলাদের বিয়ে হয়, তাদের ডিম্বাণু কোষের উৎপাদন হ্রাস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বিয়ের আগেই এই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। বিয়ের পর পরিবার পরিকল্পনা করতে গিয়ে কোন সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, তাই এই পরীক্ষাটি অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা: এই পরীক্ষাটি পাত্র-পাত্রী উভয়ের করা উচিত। বন্ধ্যাত্ব যে শুধুমাত্র নারীদের হয় তা কিন্তু নয়, পুরুষদের হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর স্বাস্থ্য এবং শুক্রাণুর সংখ্যা পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে একটি পুরুষ বাবা হওয়ার যোগ্য কিনা, অন্যদিকে নারীরা গর্ভধারণ করার যোগ্য কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে বিয়ের আগে এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
জেনেটিক টেস্ট: জিনগতভাবে কোন সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত বিয়ের আগে।
এসটিডি পরীক্ষা: বিবাহিত ব্যক্তিদের কোন যৌন সংক্রমিত রোগ আছে কিনা, তা দেখার জন্য এই পরীক্ষা করা উচিত।
রক্তের গ্রুপের পরীক্ষা: অনেক সময় পাত্র-পাত্রীর মধ্যে একজন নেগেটিভ রক্ত বাহক হয়, সে ক্ষেত্রে সন্তানের পক্ষে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। তাই আগেই এই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
রক্তের সমস্যা পরীক্ষা: রক্তে থ্যালাসেমিয়ার জীবাণু আছে কিনা, তা জানার জন্য এই পরীক্ষা করা উচিত।