সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আশ্চর্যজনক, ২৪ হাজার ব’ছ’র আ’গে “মৃত” জী’বে স’ঞ্চা’র হ’লো প্রাণের, হইচই বিশ্বজুড়ে

আমরা যে সমস্ত জীব জন্তুর অস্তিত্ব নেই বলে চিন্তা করি তাদের কোথাও না কোথাও হয়তো অস্তিত্ব রয়েছে এমন ধারণা আমাদের মধ্যে প্রবেশ করিয়েছে জুরাসিক পার্ক অথবা ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী। বিজ্ঞানীরা এই সমস্যা ধারণাকে উড়িয়ে দিলেও সবকিছুতে বোঝায় অস্বীকার করতে পারা যায় না। সাইবেরিয়ার তুষারাবৃত জগতে চাপা পড়ে থাকা প্রাণ আবারো ফিরে আসার পথ খুঁজে পেল। প্রায় ২৪ হাজার বছর বেঁচে উঠল একটি আণুবীক্ষণিক প্রাণী। সত্যি অবাক হতে হয় শুনলে। কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার কথা।

গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, বরফের চাদরের নিচে মাটির ভিতরে চাপা পড়ে থাকা একটি অদৃশ্য প্রায় প্রাণকে কেবল বাঁচিয়ে তোলা হয়নি, গবেষণাকারী তারা নিজেরাই উৎপন্ন করেছে নিজেদের ক্লোন। এই জীব গুলির নাম হলো দেলোয়েড রতিফার। এদের মুখে চাকার মত গোল আকৃতি চুলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে একে বলা হয় চাকা প্রাণী। এরা সাধারণত জলে থাকে, বহুকোষী আণুবীক্ষণিক প্রাণী এগুলি। গত ৫ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রয়েছে এরা। অত্যান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে বেঁচে থাকতে পারে, মনে করা হয় যে সাধারণ মানুষের অবলুপ্তির পরেও পৃথিবীতে বহু বছর টিকে থাকবে এরা।

গবেষকরা দেখেছিলেন যে,- কুড়ি ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা তে কিভাবে এরা বেঁচে থাকে। বরফের জমাট বাঁধা অবস্থাতেও কাটিয়ে দিতে পারে বছরের পর বছর। শীত ঘুমের অচৈতন্যতা কাটিয়ে আরো একবার জীবিত হয়ে যেতে পারে এরা। তবে এদের অচৈতন্য অবস্থায় বেঁচে থাকার সময় দশ বছর বলে ধরে নেওয়া হত, কিন্তু সেই ধারণা একেবারেই বদলে গেছে এবার। গবেষকরা জানিয়েছেন, ২৪ হাজার বছরের ব্যবধান পেরিয়ে এই নিদ্রাভঙ্গ হয়েছে এবার। উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়ার এই বাসিন্দারা জেগে উঠেছে এমন নয়, রীতিমতো বংশবিস্তার করা শুরু করে দিয়েছে।

কিন্তু কি করে এত কম উষ্ণতার মধ্যে নিজেদের শরীরে প্রাণে চিহ্ন বজায় রাখতে পারছে এরা? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, প্রাণীদের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ ক্ষমতা থাকে যা নিজেদের কোষকে অত্যন্ত কম উষ্ণতার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। বহুকোষী প্রাণীরা কিভাবে দীর্ঘ বছরে কিভাবে থেকে গেল, তা জেনে রীতিমত অবাক বিজ্ঞানীরা। এর ফলে আগামী দিনে জিন গবেষণা এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা তে গবেষণার নতুন দিগন্ত আবিষ্কৃত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।