সুন্দরবনের কাকড়া, মাছ, মধুর ওপরে নির্ভর করে যাদের সংসার চলে তাদের বাঘের ভয় করলে চলে না। কারণ তাদের পেটের দায়ে দৈনিক বনের মধ্যে যেতে হয়। সেখানে যদি দক্ষিণ রায়ের সম্মুখীনও হতে হয় তাদের তাও জীবনের ঝুকি নিয়ে বনে ঢুকতেই হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার কি আর ভাগ্য সাথে থাকে?
এবার তেমনটাই হল সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী, আর সেখানেই একেবারে ঘাড়ের মধ্যে ঝাপিয়ে পরেছে দক্ষিণ রায়। তবে তাই কি বাঘের সাথে রুদ্ধশ্বাস লড়াই, কিছুক্ষণ লড়াই করার পরে তাকে তার সঙ্গীরা নিয়ে আসে বাইরে। জখম মতসজীবিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মতসজীবীর নাম সনাতন মন্ডল, সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের লাহাড়িপুর এলাকার বাসিন্দা, কিছু সঙ্গী নিয়ে শুক্রবার মাছ ধরতে গিয়েছিল সে, কিন্তু কে জানত তার জন্য অপেক্ষা করে আছে এক বিপদ, বাঘ নাকি তার ঘাড়ের ওপরে আচমকাই ঝাপিয়ে পরে, ঘাড়ের কাছে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত, তবে তাকে বাঘের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন তার দুই সঙ্গী, বাঘের সাথে রুদ্ধশ্বাসের লড়াই।
তুলনামূলক বাঘের হামলা এখন বেড়ে গেছে সুন্দরবনে, বাংলাদেশের জলসীমান্ত পেরিয়ে বাঘ ঢুকে যাচ্ছে ভারতে। আর সেই কারণেই সুন্দরবনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঘের সংখ্যা। এটি একটি ভালো লক্ষণ কিন্তু সেখানকার মানুষদের জন্য তৈরী হচ্ছে বিশাল আতঙ্ক। একের পর এক হামলা হয়ে চলেছে মতসজীবীদের জন্য। যা কিনা বন দফতরের একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।