ক্যান্সার মানেই নো আনসার। সময় বদলেছে প্রযুক্তি বদলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসেছে নানান উন্নতি কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু এবার ক্যান্সার রোগীদের জন্য সুসংবাদ। সামান্য একটা অস্ত্রপোচারের পরেই সম্পূর্ণ চাঙ্গা হয়ে উঠবেন রোগী। এই যেমন ধরুন রাতে অপারেশন হয়েছে পরের দিন সকালবেলা দিব্যি সুস্থ সবল শরীরে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। অত্যাধুনিক রোবট পা রেখেছে শহরে।
আর এই রোবটের সাহায্যে শুরু হতে চলেছে এমনই এক দুর্দান্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা। পূর্ব ভারতে এমন রোবট রয়েছে ছয়টি। প্রথমবার এপোলো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কলকাতায় এই রোবট আনা হয়। আর এই রোবটের হাতে প্রথম বার যান্ত্রিক অস্ত্রপোচারের সাক্ষী থেকেছেন বছর পয়ষট্টির সত্য ঘোষ দস্তিদার নামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের সমস্যা ছিল তার। মূত্রত্যাগের গতি কমে গিয়েছিল ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছিল। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ছিল। শহরের বিখ্যাত ডাক্তার অমিত ঘোষ জানিয়েছেন এগুলোই এই প্রস্টেট ক্যান্সারের উপসর্গ। সাধারণত পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেই এই ধরনের টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন টেস্ট করতে বলা হয় সকলকে।
মঙ্গলবার রাতের বেলায় নটার সময় অপারেশন হয় সত্যবাবুর। বুধবার সকালেই রাউন্ডে গিয়েছিলেন ডাক্তার অমিত ঘোষ। রোগীকে দেখে রীতিমত চক্ষু চরক গাছ ডাক্তারের। রোগী তো একেবারে সুস্থ সবল আবার ডাক্তারবাবুর হাতে হাত রেখে বললেন খুব ভালো আছি কোন অসুবিধা নেই।
ডাক্তার বাবু জানাচ্ছেন রোবটের অপারেশন করবার হাত এতই ভালো যে সামান্য ব্যথায় নেই রোগীর শরীরে। দিব্যি হেটে চড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। শহরের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে এই রোবট প্রথমবার পা রেখেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শহরের তাবর তাবর ডাক্তাররা।
এই প্রসঙ্গে আরেক বিখ্যাত ডাক্তার শান্তনু পাঁজা জানিয়েছেন গলা নাক চোখের যে কোন জটিল টিউমার যেখানে মানুষের হাত পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানেই পৌঁছে যাবে এই রোবট। তার হাতে লাগানো থাকে একটি থ্রিডি ক্যামেরা। অপারেশনের জায়গাটি ১২ গুণ বড় করে দেখা যায়। তিনটি মানুষের সমান কব্জি রয়েছে ওই রোবটের। যার ফলে কোনরকম বাধা ছাড়াই কম সময়ের মধ্যে অপারেশন সাকসেসফুল হয়।