পশ্চিম ঘানায় একটি গ্রাম রয়েছে, নাম মামফে ডাভ। এই গ্রামে আজ যে বাসিন্দারা থাকেন খুব আশ্চর্যভাবেই তাদের কারো জন্ম এই গ্রামে নয়। কারণ সেখানে সন্তান জন্ম দেওয়াকে প্রথাবিরোধী এবং সৃষ্টিকর্তার অসন্তুষ্টির কারণ বলে মনে করা হয়। তাই সে গ্রামে সন্তান জন্ম দেওয়ার কোনো অনুমতি নেই।
গ্রামের এই নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দুঃসহ যন্ত্রণাও সহ্য করেছেন অনেক সন্তানসম্ভবা মা। তবুও অনুমতি পাওয়া যায়নি। সন্তান জন্মের জন্য তাদেরকে ছুটতে হয়েছে অন্য গ্রামে। শুধু তাই নয়, এখানে সন্তান জন্ম দেওয়া যেন পাপ।
আর সেই পাপ যেহেতু এক গর্ভবতী মা নিজের শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়ান তাই সেই সব নারীদের ওপর একরকম অত্যাচার চলে। তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা হয়, প্রসূতি অবস্থায় ছুটতে হয়, এমনকি তীব্র প্রসববেদনা নিয়েও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে যুগের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলায়।
আরো পড়ুন: আশ্চর্য্য গাছ, সারা গা’য়ে জু’ড়ে শুধুই রংধনু
আগেকার দিনের নারীরা সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করলেও এমনটা কিন্তু এখন হয় না। তাই অনেক নারীই আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এই নিয়মের বিরোধীতা করতে শুরু করেছেন। এখানেই তাদের সন্তান জন্মদানের অনুমতি দেওয়া হোক বলে দাবি তুলেছেন তারা।
কিন্তু এখানে সন্তান জন্ম দেওয়ার অনুমতি নেই। সন্তান প্রসব করতে আমাদেরকে অনেক দূরে যেতে হবে এমনটাই নিয়ম। প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় অন্য গ্রামে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি পেতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। দ্বিতীয় সন্তানের সময়ও যেতে হয়েছিল অন্য একটি গ্রামে।
মোড়লদের কথায়, “একসময় স্বর্গ থেকে বাণী এসেছিল যে আমাদের পূর্বপুরুষরা এখানে আসেন। তাই এটি একটি পবিত্র ভূমি হিসেবে বিশ্বাস রয়েছে আমাদের।
আরো পড়ুন: বসন্তের তাপপ্রবাহে না’কা’ল হচ্ছেন রাজ্যবাসী, কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর জেনে নিন
এখানে বসবাস করতে হলে এখানকার নিয়মগুলিও মেনে চলতে হবে।এখানে যেমন কারোর জন্মও হবে না, তেমনই কারো সৎকারও হবে না। তাই এখানে থাকতে হলে এসব ব্যাপারে অনুগত হয়ে চলতে হবে। আর সেই কারণেই আমরা এখনো এখানে আছি।”
ওই অঞ্চলের আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলিতেও এই রকম নিয়ম চালু ছিল। কিন্তু এখন সেসব বিলুপ্ত হয়েছে। তবে এই গ্রামে তা হচ্ছে না কারণ এখানকার মোড়লরা এই নিয়ম বজায় রাখতে চায়।