সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আজব এই ঘ’ট’না স’ম্প’র্কে জানতেন? এক সেনা জওয়ানের বা’ত’ক’র্মে’ই দা’ঙ্গা শু’রু হয়েছিলো!

বাতকর্ম বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার এবং অস্বস্তিকর। যদিও অনেকে এটাকে আর পাঁচটা শারীরিক প্রক্রিয়ার মতো খুব স্বাভাবিক মনে করেন। তবে এর পিছনে রয়েছে এমন এক ইতিহাস যা জানলে যে কেউ অবাক তো হবেনই, সেই সাথে বাতকর্ম করার আগে দু’বার ভাববেন। আসলে সামান্য এই শারীরিক ক্রিয়ার কারণে এমন এক মারাত্মক দাঙ্গা বেধে গেছিল যার কারণে কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।

ইহুদি ইতিহাসবিদ ফ্লেভিয়াস জোসেফাসের লেখা ‘ওয়ার অব দ্য জিউস’ গ্রন্থ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। সময়টা ছিল ৪৪ খ্রিস্টাব্দ। জেরুজালেমের মাটিতে তখন ভয়ংকর ইহুদি-রোমান দাঙ্গা লাগে। এক রোমান সেনার উসকানিমূলক বাতকর্ম থেকেই এই দাঙ্গার সূত্রপাত। ইতিহাসবীদ জোসেফাসের কথায় জানা যায় ওই দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

জেরুজালেমের এই দাঙ্গা লাগার কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল হেরোদিয়ান রাজবংশের শেষ রাজা হেরোদ অ্যাগ্রিপ্পার। আর ঘটনার সময় চলছিল ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘পাসওভার’ বা ‘নিস্তার পর্ব’। শহরের একটি ধর্মীয় স্থানে তখন পূণ্যার্থীদের বিরাট ভিড়। ওই ধর্মীয় স্থানের ছাদে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বেশ কয়েকজন রোমান সেনা। তাদেরই মধ্যে একজন হঠাৎই পিছন ঘুরে দাঁড়িয়ে সশব্দে বাতকর্ম করেন।

আরো পড়ুন: উমা সিরিয়ালের প্রধান মুখ ব’দ’ল! শিঞ্জিনীর প’রি’ব’র্তে শোয়ে আসছেন শ্রুতি

তবে জোসেফাস বলেন, ওই রোমান সেনা স্বাভাবিক বাতকর্ম করেননি। তাঁর ভঙ্গিমায় ছিল ইহুদিদের প্রতি তীব্র ব্যঙ্গ। এমনকী ওই কাজ করার পর তিনি ধর্মীয় স্থানে উপস্থিত ইহুদিদের কটুক্তিও করেন। যাতে ধরা পরে তার ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’। স্বভাবতই ইহুদিরা তাদের ধর্মের প্রতি এতখানি অশ্রদ্ধা মেনে নিতে পারেননি।

তারা ধর্মীয় স্থানের নীচ থেকেই ওই নিরাপত্তারক্ষীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল ইহুদি সাধারণ জনতা ও রোমান সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। যা গোটা জেরুজালেমে ছড়িয়ে পড়ে। রোমান প্রোকিউরেটর কিউমানাসের নির্দেশে রোমান সেনা শুরু করে ইহুদি নিধন যজ্ঞ।

জেরুজালেম শহর জুড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। পদপিষ্ট হয়েও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তাহলে ভেবে দেখুন তো এই গোটা ঘটনার পিছনে শুধুই এক রোমান সৈনিকের বাতকর্ম! মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের বিষয় যে কতখানি ভয়ানক হতে পারে তারই প্রমাণ এই ঘটনা। আর তাই সব সময় এই সব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলেই ঘটে যেতে পারে অকল্পনীয় ঘটনা।