সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’জ’ব সন্তান! কো’ভি’ড পজিটিভ প্রবীণার হা’র্ট ব্লক, হাসপাতালে রেখেই উ’ধা’ও ছেলেরা

করোনা আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব আশুবিবি পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ফিমেল ওয়ার্ডে ভরতি হন তিনি। নিয়ে এসেছিলেন পরিবারই। তারপর পরিবার হাওয়া। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাউন্ড দিচ্ছিলেন ডা. কঙ্কন দাস। তিনিই প্রথম হৃদস্পন্দন মাপতে গিয়ে চমকে যান। চিকিৎসক কঙ্কন দাসের কথায়, দুপুরে ওই বৃদ্ধার হৃদস্পন্দন মাপতে গিয়ে দেখা যায় তা অত্যন্ত ক্ষীণ। মিনিটে মাত্র ৩২/৩৩। স্বাভাবিকভাবে যা থাকা উচিত ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে। এত কম হৃদস্পন্দন দেখে চমকে যান চিকিৎসক। মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার ডা. অর্পণ মাইতিকে জানান বিষয়টি। চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত ইসিজি করার। ইসিজি করে দেখা যায় কমপ্লিট হার্ট ব্লক।

ডা. কঙ্কন দাসের কথায়, ওই বৃদ্ধার হার্টের যা পরিস্থিতি, যে কোনও সময় মারা যেতে পারতেন। রোগিনীকে বাঁচাতে গেলে যত দ্রুত সম্ভব টেম্পোরারি পেস মেকার বসাতে হত। অস্থায়ী পেসমেকার হৃদস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র। যা ইলেকট্রিক্যাল ইমপা‌ল্‌স তৈরি করে হৃদপেশিকে সরবরাহ করে এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ওই বৃদ্ধার হৃদপিণ্ড যথেষ্ট পরিমাণে বা গতিতে ইমপাল্‌স তৈরি করতে পারছিল না।

এই পরিবার তাঁকে হাসপাতালে ফেলেই উধাও হল। অথচ চিকিৎসকদের সহায়তায় সুস্থ হয়ে সেই মায়েরই প্রথম প্রশ্ন, “ছেলে মেয়েরা কোথায়? ওরা ভাল আছে তো?” হৃদয় বিদারক এ ঘটনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।