সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জালি’য়াতি রু’খ’তে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ফ’র্ম ফি’ল আ’পে নতুন নি’য়’ম জা’রি ক’র’ল রাজ্য প্রশাসন

জালিয়াতি রুখতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ফর্ম ফিল আপে নতুন নিয়ম জারি করল রাজ্য প্রশাসন

সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দুয়ার সরকার’ প্রকল্প কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম ফিল আপ। দুয়ারে সরকার শিবিরের সামনে লম্বা লাইন। বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম ফিল- আপে যাতে কোনো জালিয়াতি না হয়, তার জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। যা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফর্মপিছু ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বরও চালু করেছে রাজ্য। তারপরেও কোনো কোনো ক্যাম্পে জালিয়াতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। শিবিরে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা তাদের কার্যকলাপ সুষ্ঠু ভাবে পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। চালু হল নতুন নিয়ম।

এদিন নবান্নের বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ফর্ম ফিল আপ করার জন্য ‘কন্যাশ্রী’ সেল্ফ হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে লাগানোর পরামর্শও দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় কোনো রকম রাজনৈতিক প্রতিনিধি যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে সূত্রের খবর। কারণ তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টি জেলাশাসকের অধীনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে শিবিরগুলিতে লোকবল বাড়াতে এবং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ফর্ম ফিল-আপের জন্য কাজে লাগানো হতে পারে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও।

নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অভিযোগ জানিয়েছেন যে দুয়ারে সরকার শিবিরে সরকারি প্রকল্পে অনেক জাল সার্টিফিকেট সহ একাধিক ভুয়ো আবেদন জমা পড়ছে। কাদের এ ধরণের কার্যকলাপ তা খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মাননীয়া।

নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নির্দিষ্ট হেল্পলাইনে অভিযোগ আসছে যে টাকার বিনিময়ে অনেক জায়গায় ফর্ম বিক্রি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম শিবির থেকেই পাওয়া যাবে, অন্য কোথাও থেকে পাওয়া ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলার মহিলারা যাতে টাকার বিনিময়ে অন্য কোথাও থেকে ফর্ম সংগ্রহ না করেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষ যাতে কোনরকম প্রতারণার শিকার না হন তার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কড়া নজর রাখার জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।