সারা ভারত জুড়েই যত্রতত্র যেমন দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজারো আদ্যিকালের প্রাসাদ, পৌরাণিক সব নিদর্শন,ঠিক সেরকমই অসংখ্য নিদর্শনকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে অনেক রূপকথার গল্প।পুরনো দিনের ছাপ এখনও ইতিউতি খুঁজলে অনেক মেলে বাংলার উত্তরবঙ্গেও।
উত্তরবঙ্গের এক আদি অধিবাসী জাতি লেপচা। তাদের রূপকথাতেই এতদিন জীবন্ত ছিল রাজা-রানি পাহাড়ের এক ভয়ঙ্কর গুহার কাহিনী।পাহাড়ি দুর্গমতার কারণে হিমেল বঙ্গভূমির অনেক এলাকতেই মানুষের পদচিহ্ন পরেনি।
কালিম্পং জেলার কালিঝোরার নিকটেই অবস্থিত লাটপাঞ্চার। সেখানেই মহানন্দা অভয়ারণ্যের সবুজে ঢাকা বহুচর্চিত দুটি প্রাচীন গুহা। যা নিয়ে লেপচা জাতির কৌতুহলের শেষ নেই। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে ছয় বাঙালি ডাকাবুকো অভিযাত্রী প্রবেশ করলেন সেই গুহায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পর্বতারোহী অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়।
আরো খবর: ৪ মার্চ পর্যন্ত এইসব রুটে ব’ন্ধ প্র’চু’র ট্রেন, রইলো তা’লি’কা
বাকি পাঁচ জন হলেন শুভজিৎ পাল, আশিস চন্দ, সৌরভ দাস, ঋভু দাস এবং সুকান্ত দেব মণ্ডল। স্থানীয়দের অন্ধবিশ্বাস ছিল সেই গুহায় গেলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। কেউ ফিরে আসে না সেই গুহা থেকে। তাই সেখানে যাওয়ার সাহসও দেখাননি কেউ। এবার এই অন্ধবিশ্বাসই ভেঙে দিলেন এই অভিযাত্রীরা।
ইতিহাসবিদদের মতে লেপচাদের প্রথম রাজা ছিলেন তোরভে পানো।খুব সম্ভবত ১৪০০ থেকে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই লেপচাদের রাজত্বকাল ছিল।রাজারা যুদ্ধের সময় এই গুহা দুটিতে আত্মগোপন করতেন।এই সময় থেকেই এই অন্ধবিশ্বাসের সূত্রপাত বলে অনুমান করা হয়।