সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নন্দীগ্রামে ভোটের রে’জা’ল্ট নিয়ে চাঞ্চল্যকর ব’য়া’ন শুভেন্দুর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির তরফের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর মহারণের আসর বসেছিল। এখানে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির তরফের নেতা। তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

নন্দীগ্রাম মামলায় সম্প্রতি সময়ে রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের গরমিল এর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতেই কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৭৬। এদিকে অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেডে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে ভোট পড়েছে ৭৯৯। অতএব ভোট গণনায় কারচুপি নিয়ে তৃণমূলের দাবি সত্যি বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের প্রসঙ্গেও উঠছে প্রশ্ন। ভোটে এমন স্পষ্ট গরমিল দেখেও কেন তিনি চোখ বন্ধ করে তাতে স্বাক্ষর করে দিলেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। তবে নন্দীগ্রামের জয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য জানিয়েছেন, এইভাবে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা চলছে। তার দাবি, বিষয়টিকে উল্টো ভাবে দেখানো হয়েছে। ওই বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭৯৯। আর ভোট পড়েছে ৬৭৬।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট গণনার পর প্রথমে ঘোষণা করে দেওয়া হয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন ওই কেন্দ্রে। অথচ তার ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১২০০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই কার্যত ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টিকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তদন্তে যে তথ্য উঠে আসছে তা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিই সঠিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।