সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শনি মহারাজ এই তিন দেবতাকে ভ’য় পান! এঁদের পুজো করলেই শনির দৃ’ষ্টি থেকে মু’ক্ত হতে পারবেন

শনিদেবকে তুষ্ট রাখতে পারলে বাড়িতে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তবে শনি হলেন কর্মফলদাতা। খারাপ কাজ করলে তার রোষ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

শনির বক্রদৃষ্টি পড়লে জীবন সম্পূর্ণ তছনছ হয়ে যেতে পারে। শনিদেব কে তুষ্ট রাখতে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান, কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ান এবং শনিদেবের পূজা করুন।

তবে মহাদেব, হনুমানজি এবং সন্ন্যাসী পিপলারের আরাধনা করলেও শনির বক্রদৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মহাদেবের ভয়ে কার্যত ভীত থাকে শনি। তাই মহাদেবের ভক্ত দের উপর কখনো বক্রদৃষ্টি আরোপ করতে পারেন না।

কথায় আছে শিব এবং শনির মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বাঁধে। সেই যুদ্ধে শিবকে আহত করে শনি। এতে মহাদেব তার তৃতীয় চক্ষু খুলে ত্রিশূল দিয়ে শনিকে আঘাত করেন এবং তাকে 19 বছর অশ্বথ্থ গাছের ঝুলিয়ে রাখেন। সেই থেকে মহাদেবকে ভীষণ ভয় পায় শনি।

আরো পড়ুন: পুরীর সমুদ্র তটে জেলিফিশের হা’না, গত ৪ দিনে আ’ক্রা’ন্ত ১৩

রাবণ যখন সীতাকে অপহরণ করে তখন বানর সেনা সঙ্গে নিয়ে লঙ্কা অভিযান করেন প্রভু শ্রী রাম। শনি সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় রাম সেতু দেখতে পায়‌। হনুমান সেখানে ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। এই সময় হনুমানকে নানাভাবে বিরক্ত করতে থাকে শনি।

হনুমান তখন নিজের লেজে জড়িয়ে শনিকে পাথরে আছাড় খাওয়ান। শনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং সেই থেকে হনুমান ভক্তদের কোনও ক্ষতি করার সাহস দেখায় না।

সন্ন্যাসী পিপলারের বাবা-মা শনির রোষানলে পড়ে পরলোক গমন করেছিলেন। এই কথা জেনে প্রচন্ড রেগে ব্রহ্মার ধ্যান করে বর পেয়ে শনিকে আক্রমণ করে তার পা ভেঙে দেন পিপলার। তখন শনি বিপদে পড়ে মহাদেবকে স্মরণ করে ও শনি এইভাবে পিপলাড়ের প্রচন্ড রাগ থেকে রক্ষা পায়।