খুব প্রাণবন্ত, ছটফটে, হাসিখুশি মেয়ে ঋতাভরী চক্রবর্তী। তাঁকে দেখামাত্র এই বিশেষণগুলিই মাথায় আসে। তবে এই অভিনেত্রী বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর অসুস্থতা দীর্ঘ সময়ের। দু-দু’টো অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। তবে শুধুই যে শরীর অসুস্থ তা নয়, মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই তাঁর পাশে দরকার ছিল একজন কাছের বন্ধুর। তার ডাক্তার বন্ধু তাঁর সেই আশা পূরণ করলেন। মানসিক অবসাদ থেকে বের করে আনার জন্য অভিনেত্রীর দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান তিনি।
ঋতাভরীর কথায় তিনি যে ঝলমলে সুন্দর তা তো সবাই জানেন এবং দেখেন, কিন্তু তাঁর সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলোতে তাঁর কাছের মানুষের সঙ্গে তাঁর পাশে থেকেছেন তাঁর ‘ডাক্তার বন্ধু’। তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হতো মাঝেমধ্যেই। এমনকি সময়মতো তাঁকে ভালবেসে ওষুধ খাইয়েও দিয়েছেন তিনি। এই ডাক্তার বন্ধুই ঋতাভরীর আজীবন মন ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এমনকি তাঁর সঙ্গে আগামী দিনে গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করেছেন ঋতাভরী। এবার সত্যি সত্যিই সাত পাকে বাঁধা পড়ার ইচ্ছা নায়িকার।
ঋতাভরীর বিয়ে নিয়ে প্রায়শই নেট মাধ্যমে রব ওঠে। তবে বিয়ের জন্য তার নির্দিষ্ট কিছু শর্তের কথাও উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “যাকে বিয়ে করব, বিয়ের আগে তার সঙ্গে কিছু দিন থাকতে চাই। কিন্তু দুই বাঙালি পরিবার ব্যাপারটাকে কী ভাবে নেবে জানি না। তাই ঠিক হল, এ বছর ডিসেম্বরে এনগেজমেন্ট করে আমরা একসঙ্গে থাকব আমার বাড়িতে। কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে পরের বছর বা তার পরের বছর জাঁকজমক করে বিয়ে করব।”
বিয়ে ব্যাপারটার প্রতি তাঁর একটা ভীতি আছে। যেহেতু তিনি একটা সুখী পরিবার ভেঙে যেতে দেখেছেন। তার কথায়, “বিয়ের পর কেউ যদি তার সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং বলেন এটা কোরো না, ওটা কোরো না, বোল্ড ছবি দিয়ো না… সে সব আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন হবে। সত্যি বলতে, এর আগে কাউকে দেখে মনে হয়নি, তার সঙ্গে সংসার করতে পারব। তবে আমার কিছু বলার আগেই হঠাৎ একদিন ও-ই বলল, ‘তুমি পাশে থাকলে তোমার প্রতি কেমন যেন বৌ বৌ ফিলিং আসে। এরপর আর না করতে পারিনি।”
এনগেজমেন্টটা কাছের মানুষদের উপস্থিতিতেই সারবেন বলে ভেবে রেখেছেন তাঁরা। এনগেজমেন্টের পরেই বিয়ে। তাদের ইচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু সম্পন্ন করতে। এ বছরের শেষে এনগেজমেন্ট এবং আগামী বছরের শেষ দিকে বিয়ে হতে পারে বলে খবর। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে পেশায় মনোবিদ ডাক্তার-বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও মাত্র ছয় মাসের আলাপ তাদের। দু’জনেই সমাজসেবার কাজে যুক্ত। সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গিয়েই তাঁদের আলাপ হয়েছিল ছ’মাস আগে।
