ভবানীপুর উপনির্বাচন শেষ হতে না হতেই আরো একবার বড়সড় ধাক্কা খেল বিরোধী শিবির। এবার দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপির বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী। তার দল ছাড়ার পরই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান পর্বের জল্পনা-কল্পনা। যদিও এখনও বিধায়ক এই নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে দল থাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময় তিনি সংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন
বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা বাড়িয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। শুক্রবার সকলের সামনে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের পর এই ভাবে আরো একবার বিজেপি দল থেকে বিধায়ক সরে যাওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে উত্তেজনা বাড়িয়েছে সকল মহলে।
দলত্যাগ এরপর দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করি তিনি জানিয়েছেন, দেবশ্রী চৌধুরী যদি বলে থাকেন তাহলে তিনি কোনোভাবেই দলে থাকবেন না। দেবশ্রী চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে তাকে ভোটে হারাতে চেয়েছিলেন, তাই তার পক্ষে দলে থাকা সম্ভব নয়।
এই ঘটনা আরো একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিজেপির অন্তর কলহের কথা। প্রথম থেকেই কৃষ্ণ কল্যাণী সঙ্গে বিরোধিতা ছিল দেবশ্রীর। বিজেপি বিধায়ক ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন এলাকায় যান না বিজেপি সংসদ। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন দেবশ্রী চৌধুরী।
একুশের ভোটের পরেই যেভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন বিধায়ক থেকে সংসদ সকলে, তাতে করে বিজেপির শিরদাঁড়া যে একটু হলেও নমনীয় হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই বড়োসড়ো চমকে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয় কে বিজেপির ঘনিষ্ঠ নেতা বলে চিনতেন সকলে। এর মধ্যেই সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বাবুল এর থেকেও বড় একজন নেতা বিজেপি ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলের যোগদান করার কথা চিন্তা করছেন, যদিও তার নাম উল্লেখ করেননি তিনি।