তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকারের জয়ধ্বনি যতটা না আমরা শুনতে পেয়েছি তার থেকে বেশি শুনতে পেয়েছি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে বিরোধীদের মারধর সবকিছুই উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। এবার প্রথা ভেঙে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে একসঙ্গে ৭৭ জন অফিসারকে রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেললেন নবান্ন।
এই প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক। বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করেছে, বিধানসভা ভোট চলাকালীন শাসক দলকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেবার জন্য হয়তো পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এনাদের। কারণ একমাত্র আই এ এস অফিসার অতিরিক্ত সচিব পদে বসতে পারেন। কিন্তু এখানে রীতিমতো গরমিল ধরা পড়েছে। ৭৭ জন ডাবলু বিসিএস অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে একসাথে।
বিধানসভা ভোটের আগে অতিরিক্ত সচিব এর জন্য অনেকগুলি পথ তৈরি করেছিলেন রাজ্য সরকার। তখন কিছু বোঝা না গেলেও এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, কেন ওই পদ গুলি নিয়ম ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারীতে তৈরি হওয়া ওই শূন্যপদ এবার পূরণ করা হলো এই অফিসারদের দিয়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রমোশন প্রাপ্ত রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অফিসারদের। বাকি অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন তারা।
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, বিগত নির্বাচনে যারা একনিষ্ঠভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন তাদের ক্ষমতায় আসার পর পুরস্কৃত করা হয়েছে। এরকম নিয়োগ পদ্ধতিতে স্বাভাবিক ভাবেই অফিসারদের মধ্যে নানারকম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই অসন্তোষ এবং ক্ষোভ দূর করার জন্য ভুয়ো অতিরিক্ত সচিবের যে পদ তৈরি হয়েছিল, তার ওপরে সুগার কোডিং করা হল। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রশাসনিক আমলারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সচিব পদে কেবল মাত্ আইএএস রাই বসতে পারে। কিন্তু একসঙ্গে ৭৭ জন মানুষকে একসাথে নিয়োগ করা রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার।