একের পর এক নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। এবার প্রাথমিকে এমন একটি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে যা দেখে হতবাক হয়ে গেছে সকলে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে চাকরি দেওয়া হয়েছে একজন চাকরিপ্রার্থীকে। প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে তাকে।
চাকরি প্রদান করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যখন ওই প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর, যেখানে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া নূন্যতম বয়স ১৮। কিভাবে প্রাথমিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নিয়োগ করা হলো তা শুনে অনেকেই হতবাক হয়ে গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলাকারী যা বলেছেন, ১৭ বছর বয়সে কিভাবে মালদায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে টেট পাস করা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয় যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারীরা।
আরো পড়ুন: বাম আমলে খাদ্য দপ্তরে নি’য়ো’গে ব্যা’প’ক দু’র্নী’তি, ৬১৪ ক’র্মী বরখাস্ত
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়েছে যার শুনানি হতে পারে আজ। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে যেখানে বলা হয়েছে সুপ্রীয় সরকার নামে এক চাকরিজীবীকে মাত্র ১৭ বছর বয়সে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
যদিও তার নাম মেধাতালিকায় ছিল না। অনিয়ম করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তার নাম। সব মিলিয়ে ২৬৯ জন শিক্ষকের নাম আসে।
অবিলম্বে ওই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। কোনভাবেই যাতে ওই শিক্ষকরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।