সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জোর প্র’স্তু’তি, দৈনিক আ’ক্রা’ন্ত হতে পারেন ৩৫ হাজার! উ’দ্বে’গ প্র’কা’শ স্বাস্থ্যকর্তাদের

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন ‘ওমিক্রন সুনামিতে ভেঙে পড়বে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’। ডেল্টা-ওমিক্রন জোড়া ফলায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। স্বাস্থ্যকর্তারা একইরকম ভাবে এই সময়ে রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আর তাই তড়িঘড়ি ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ সমস্ত জেলাকে সতর্ক করেছে তারা।

তারা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাড়াতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৪০ হাজার করোনা পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের আশঙ্কা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে। এমনকি দৈনিক সংক্রমিত হতে পারেন ৩০-৩৫ হাজার মানুষ। এটাকে কার্যত তৃতীয় ঢেউ বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে শুরু করলেন তাঁরা। সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ থাকলেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

কোনওরকম শৈথিল্য দেখানো চলবে না। প্রথববার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ৮ দিন পর ফের পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হবে। করাতে হবে ওমিক্রন পরীক্ষা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের ল্যাবেই জমা দেওয়া হবে নমুনা। স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই নমুনা সংগ্রহ করে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হবে। সেখান থেকেই মিলবে রিপোর্ট। সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরামর্শ, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।