অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারদের দুই মেয়ে, বাগুইহাটির লোকনাথ পার্কের কাছেই পাওয়া গেছে এক ফ্রড কলসেন্টারে হদিস, এক কথায় বলতে গেলে পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টার, যার মূল চক্রী এই দুই অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারদের দুই মেয়ে। সম্প্রতি এই ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায় সিআইডি। অনেকদিন থেকেই খোঁজ চলছিল এই ফ্রড কল সেন্টারের, কিন্তু হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের। আইনি ভাষায় মেয়ে দ্বারা পরিচালিত কল সেন্টারকেই বলা হয় পিঙ্ক কল সেন্টার। ইতিমধ্যেই মোট ৬ জন মহিলাকে হাতেনাতে পাকরাও করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সিআইডি দ্বারা যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তা থেকে জানা গেছে, মোট ৩ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে তাদের ওপর। স্নেহা ও পুবালী এই দুই জন এক্স আর্মি অফিসারদের মেয়ে, যাদের তত্ত্বাবধানে চলত ভুয়ো কল সেন্টার। মোবাইল ইন্সটলেশনের নাম করে খোলা হয়েছিল এই ফাঁদ, মোবাইল, ল্যাপটপ আরও অনেক কিছুই উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে।
এই কল সেন্টারের আসল কাজটাই ছিল লোক ঠকানো, সাধারণ মানুষকে ফোন করে টাওয়ার বসানোর জন্য আগ্রহী কিনা তার জিজ্ঞাসা করা হত, সাথে মোটা টাকার লোভ দেখানো হত। আর এই ফাঁদে পা দিলেই হয়ে যেত তাদের সর্বনাশ। সিআইডি জানিয়েছে, এক মাসে এই ভাবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আয় করত এই ফ্রড কল সেন্টার।প্রথমে আগ্রহী ব্যাক্তির ডকুমেন্ট চাওয়া হত তারপরেই বিভিন্ন অছিলায় অল্প অল্প করে টাকা নেওয়া হত, আর এভাবেই একের পর একজনকে ঠকিয়ে ফুলেফেঁপে উঠত তারা।
দমদম ক্যান্টনমেন্ট, থেকে শুরু করে সল্টলেক, অশোকনগরের দক্ষিণপল্লী, রহড়ার শান্তিনগর সবজায়গাতেই এই সমস্ত মেয়েদের বাড়ি , আনুমানিক বছরে ৩ কোটি টাকার মতো প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাদের ওপর। এর আগেও সেই দুই মেয়ে পুলিশের নজরে এসেছিল কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়েছিল ঠিকই তবে ফের তারা এইচক্র খুলে বসে। সল্টলেকের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই পিঙ্ক ফ্রড কল সেন্টার খুলে বসে। স্বাভাবিক ভাবেই মহিলা দ্বারা এই কলসেন্টারের বিশ্বাস অর্জন করতে তেমন একটা সময় লাগে না, আর সেইকারণেই লোকসম্মুখে থেকেই নিজেদের পসার জমাতে থাকে তারা। কিন্তু শুরুটা তাদের মসৃণ হলেও শেষটা কিন্তু একেবারেই ভালো হয়না।