ভালো মন্দ নিয়েই জীবন। এই জীবনে যেমন কারো কারো সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবার নিজের অজান্তেই কারও কারও সঙ্গে আমরা অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ি। তবে জানেন কি কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে এবং কার সঙ্গে শত্রুতা সম্পর্ক গড়ে উঠবে তারা কিন্তু রাশিচক্রে আগে থেকেই ঠিক করে থাকে? জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী রাশি চক্রের বেশকিছু রাশি রয়েছে যাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক হলে একেবারেই বনিবনা হয় না। এক নজরে দেখে নিন সেই তালিকাটি।
মকর রাশি (Capricorn): এই রাশির জাতক-জাতিকাদের একে অপরের প্রতি ঝামেলা লেগেই থাকে। যেকোনো বিষয় নিয়ে এদের মধ্যে মতানৈক্য বেঁধেই থাকে। এরা আবার কর্মক্ষেত্রে একে অপরের বিরোধিতা করেন। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের স্বভাবে নেতিবাচক ভঙ্গি থাকে। অনেক সময় তৃতীয় ব্যক্তির উসকানিতেও এদের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়।
সিংহ রাশি (Leo): কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত ইমোশনাল হয়ে থাকেন। আবার এরা সাধারণত মিথ্যেবাদীও হন। সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা কর্কট রাশির এই স্বভাব একেবারেই মেনে নিতে পারেন না। সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত জেদি স্বভাবের হয়। তারা কর্কট রাশির মানুষদের সহ্য করতে পারেন না।
কুম্ভ রাশি (Aquarius): কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের অনুভূতি-আবেগের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। মীন রাশি বরাবর কুম্ভ রাশির থেকে অকপট আচরণ আশা করেন। উল্টোটা হলেই অশান্তি দানা বাঁধে।
বৃশ্চিক রাশি (Scorpio): বৃশ্চিক রাশি এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা আলাপচারিতায় বেশ তুখর। কিন্তু হলে কি হবে? ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা বাস্তব দিক দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবার বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা কপটতার আশ্রয় নেন। যে কারণে এরা একে অপরের উল্টো পথে হাঁটেন।কাজেই এদের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই ভালো হয় না।
