এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জড়িয়েছে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম। তার মেয়ে অঙ্কিতাকে বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের কাছে মুখ পুড়েছে রাজ্যের।
এমতাবস্থায় পরেশ অধিকারী প্রসঙ্গে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। 2018 সালে উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি যখন প্রবল তখন নাকি বাম নেতা পরেশ অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু সেই সময় তৃণমূল তাকে নিজের দলে ডেকে নেয়। তৃণমূলের তৎকালীন নেতৃত্ব তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। তখন বিজেপির বদলে তৃণমূলে যোগ দেন পরেশ অধিকারী।
আরো পড়ুন: পুরানো মেধা তালিকায় যদি নাম থা’কে তবেই চাকরি! একের পর এক ধা’ক্কা খে’য়ে বললো SSC
অভিযোগ উঠেছে সেই সময়ই নাকি মেয়ের চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করে নিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। এখন সেই পরেশ অধিকারীকে নিয়েই মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। অন্যদিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি।
এখন পরেশ অধিকারীর সঙ্গে অনেকেই দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিজেপিতে গেলে হয়তো মেয়ের চাকরি আদায় করতে পারতেন না পরেশ অধিকারী।
তবে সেই সময়ে পরেশ অধিকারী বিজেপির বদলে তৃণমূলে জায়গা করে নেওয়াতে এখন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে বিজেপি। 2019 সালে কোচবিহার লোকসভা আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন পরেশ অধিকারী।
যদিও গেরুয়া ঝড়ে বিপর্যস্ত হয় তৃণমূল। সেই সময় পরেশ অধিকারীকে চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
কোচবিহার তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি লাভা রায় অবশ্য বলেছেন পরেশ অধিকারী বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন কিনা তা তার জানা নেই।
সে সময় তিনি জেলা সভাপতি ছিলেন। তাই তার সঙ্গে কোনো সরাসরি কথা হয়নি। তবে তিনি যে দলে আসেননি এতে জোর বাঁচা বেঁচে গিয়েছে বিজেপি।