সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গভীর সমুদ্রে চির’নি’দ্রা’য় দেড়শো বছরের পু’র’নো রেল ইঞ্জিন!

পৃথিবীর যে কত রহস্য রয়েছে তা হয়তো আমরা একবারে জেনে উঠতে পারিনা। কিছু কিছু মানুষের আবিষ্কারের ফলে সেগুলো আমাদের সামনে হয়তো এসে থাকে। এরকম একটি পুরনো রেলস্টেশনের খোঁজ পাওয়া গেল, একজনের আবিষ্কারের ফলে। ২০১৩ সালে পেশায় ডুবুরি পল হেপলার যিনি নিউজার্সির গভীর সমুদ্রে ম্যাগনেটোমিটার নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতা কতটা সেটা মাপার জন্য নেমেছিলেন।

এরপরেই ম্যানোমিটার সিগন্যালের বদল কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার ফলে তিনি বুঝতে পারেন যে জলের গভীরে রয়েছে কোন ধাতব ও বড় বস্তু। এইরকম রহস্যের সমাধান করতে তিনি স্বয়ং জলের গভীরে নেমে পড়লেন এবং যার ফলে সমুদ্রের ২৭ মিটার গভীরে খুঁজে পেলেন ৯০ ফুটের দুটি লোকোমোটিভ স্টিম ইঞ্জিন।

এই ইঞ্জিন দুটি পাওয়া গেছিল নিউ জার্সির রং ব্রাঞ্চ উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে। যে মডেল জলের গভীরে পাওয়া গেছে সেই দুটি কিন্তু অতটা সহজ ভাবে পাওয়ার মতো ছিল না। এই মডেল দুটি খুব কম সময়ের জন্য একসময় তৈরি করা হয়েছিল। এর ওজন প্রায় ১৩, ৬০৭ কেজি। সাধারণত স্টিম ইঞ্জিনের ওজন হয়ে থাকে ৩১,৭০১ কেজি,সেই তুলনায় এই আবিষ্কৃত স্টিম ইঞ্জিনের ওজন অত্যন্ত কম।

আরো পড়ুন: ভাইফোঁটার ছুটি উপলক্ষ্যে ন’য়া বিজ্ঞপ্তি প্র’কা’শ করলো নবান্ন

পরীক্ষা করে জানা যায় যে এই ইঞ্জিন দুটো প্রায় ১৬০ বছরেরও বেশি সময় এর পুরনো। কথা হল রেল লাইন নেই কোন সমুদ্রের তলায় তাহলে কিভাবে এই ইঞ্জিন গুলি জলের তলায় এল? ইতিহাসবিদেরা এই বিষয় নিয়ে খোঁজ করেন কিন্তু তেমন কিছু তথ্যই তারা পাননি।

অবশেষে ইতিহাসবিদদের মতামত অনুসারে, জাহাজে করে বোস্টন থেকে মধ্য আটলান্টিক এর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই ইঞ্জিন গুলিকে সেই সময়ে কোন ঝড়ের সম্মুখীন হয় এই ইঞ্জিন গুলি যার ফলে জলের গভীরে তলিয়ে যায় এই ইঞ্জিন দুটি।

তবে বলা মুশকিল যে এই ধরনের অনুমান সঠিক নাও হতেও পারে। হতেও পারে সমুদ্রের মাঝে ইঞ্জিন দুটি কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রেল ইঞ্জিন দুটিকে নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে নিউজার্সি ট্রান্সপোর্টেশন মিউজিয়াম এর তরফ থেকে।