সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একদা সেলসম্যান থেকে অভিনেতা, এবার হলেন বিধায়ক, ক’তো স’ম্প’ত্তি’র মা’লি’ক কাঞ্চন মল্লিক?

সম্প্রতি খবরের শিরোনামে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চন মল্লিককে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাইরে এসে যাবার ফলে তাকে নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেছে সকল মহলে। এই গুঞ্জনের পারদ তার স্ত্রী নিজেই ছড়াচ্ছেন আরো বেশি করে। কাঞ্চন এবং সহ-অভিনেত্রী শ্রীময়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন পিংকি। তবে কাঞ্চন মল্লিক চিরকাল সহ-অভিনেতা হিসেবে সকলের ভালোবাসা পেয়ে এসেছেন। খুব ছোট বয়স থেকে সাংসারিক টানাপড়েন এর মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। তার এই প্রতিপত্তি একদিনে হয়নি। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ছোট থেকেই ছিল তার। থিয়েটারে অভিনয় করতে করতে কখনযে সকলের মন ভালো লাগার কারিগর হয়ে গেলেন তিনি, তা বোঝা গেল না।

১৯৭০ সালে কালীঘাট এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার বাবা কারখানার একজন কর্মী ছিলেন। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পাস করেছেন তিনি। এরপর কমার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরিবারের বড় সন্তান হবার দরুণ চিরকাল কষ্ট করে দিন কাটিয়েছেন তিনি। কখনো সেলসম্যান হয় বাড়ির দরজায় ঘুরে জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন কখনো আবার জেন্টস পার্লারে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন।

থিয়েটারের হাত ধরে তার অভিনয় জীবনের প্রথম হাতে খড়ি হয়। সুপারস্টার জিৎ এর সাথী সিনেমার হাত ধরে তিনি প্রথম তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। একের পর এক দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন এই কমেডিয়ান। সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু রিয়্যালিটি শো-তে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

ধারাবাহিকে কাজ করতে করতে নিজের মনের মানুষকে খুজে নিয়েছিলেন তিনি। সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে, ধারাবাহিকে কাজ করতে করতেই আলাপ হয় সহধর্মিনীর সঙ্গে। যদিও কাঞ্চন মল্লিক এর আগে একবার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তাও তারা একসাথে বসবাস করবেন বলে স্থির করেন। কাঞ্চন মল্লিকের অনবদ্য স্টাইলের ভালোবাসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেননি পিংকি। দীর্ঘ আট বছর ধরে সংসার করছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। কখনো তার ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আসেনি কোনদিন। অভিনয় করা সূত্রে বর্তমানে কোটিপতি হয়ে যান তিনি। অভিনয় করার পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন এই বছর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। উত্তরপাড়া তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন তিনি। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচন থেকে জানা গেছে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেশ অনেকটাই। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তার আয় ছিল ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৬০ টাকা। ব্যাঙ্কে থাকা অর্থ, গাড়ি, গয়না সবকিছু মিলে মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮ লক্ষ ২১ হাজার ৩২৩.৯২ টাকা। বাড়িঘর, জমিজমা সহ অন্যান্য মিলে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।অন্যদিকে তার স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ২ লক্ষ ১৯ হাজার ২০৫ টাকা। পাশাপাশি তাদের থাকা মোট ঋণের পরিমাণ যৎসামান্য, মাত্র ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯৫৬ টাকা।