শিক্ষক দিবসের দিনেই হাওড়া স্টেশনে বাটি হাতে এসে দাঁড়ালেন শিক্ষকেরা! তারা সরকারি স্কুলের শিক্ষক। বেসরকারি সংস্থা মারফত চাকরিতে ঢুকেছিলেন তারা। কিন্তু নামমাত্র বেতনে এতদিন চাকরি করছিলেন তারা। তাও আবার ছিল অনিয়মিত। সরকারি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরা যেখানে সম্পূর্ণ বেতন পায় সেখানে সেই একই কাজ করে তারা তাদের বেতনের সবটা পান না। এমন ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন রাজ্যের শিক্ষকেরা।
পূর্ণ সময়ের শিক্ষকেরা যেখানে সম্পূর্ণ বেতন পাচ্ছেন সেখানে অস্থির সময়ের শিক্ষকদের বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে। যে সংস্থার মাধ্যমে তারা চাকরিতে ঢুকেছেন সেই সংস্থা তাদের উপর মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে। অভিযোগ জানাতে গেলে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিচ্ছে! এমনই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বাটি হাতে নিয়ে পথে নামেন শিক্ষকেরা। তাদের দাবি বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো উপায় খোলা নেই।
রবিবার সকালে হাওড়া বাসস্ট্যান্ডের ৬ নম্বর সাবওয়ের গেটে এন এস কিউ এফ শিক্ষকরা হাতে থালা-বাটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে কারিগরি শিক্ষকরা জানিয়েছেন তাদের সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হলেও বেসরকারি সংস্থার অধীনে কাজ করেন তারা। তাদের মাইনে অনেক কম এবং তা অনিয়মিত।
গোটা রাজ্যে প্রায় পনেরশো এনএসকিউএফ শিক্ষক আছেন এবং প্রায় ২০০ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আছেন যারা এই আওতাভুক্ত। তাদের চাকরিক্ষেত্রে কোনো নিরাপত্তা নেই। বেতন নিয়মিত পান না তারা। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন।