দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই শহীদ হয়েছিলেন নিজের দেশ তথা মাতৃভূমিকে স্বাধীনতার স্বাদটুকু দেওয়ার জন্য।প্রকৃত দেশপ্রেম হয়তো একেই বলে। এই বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তার বলিদান দিবসে তাঁরই জন্মভিটেতে দাঁড়িয়ে উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা ও জেলাসাশক রেশমী কমল। যদিও, শীঘ্রই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা, তাই তৎক্ষণাৎ জাতীয় পতাকা নামিয়ে দ্বিতীয়বার সঠিক ভাবে উত্তোলন করেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সবার নজরে এসে গেছিল। আর এরপর থেকেই চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে।
এদিন ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম বলিদান দিবস উপলক্ষে মোহবনী গ্রামে একটি শহীদ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন মোহবনীর জেলাশাসক রেশমী কমল। এছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট নেতা-নেত্রীগণও উপস্থিত ছিলেন আয়োজিত অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উল্টো পতাকা উত্তোলন করায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও সে ভুল শুধরে নেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী শিউলি সাহা সম্পূর্ণ বিষয়টির জন্য সাংবাদিকমহলকেই দায়ী করেছেন। তার বক্তব্য, “ঠিকমতো পতাকা তোলার আগেই তারা ছবি, ভিডিও করে নিয়েছে।” অবশ্য এই বিষয়ে জেলাশাসক রেশমী কমল কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
এরূপ ঘটনা যখন একবার ঘটেই গেছে তখন আর বিরোধীপক্ষ কেনই বা চুপ করে থাকবে। শুরু হয়ে গেছে বেজায় বিতর্ক। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, ‘ওঁরা কোনও কিছুই জাতীয় মর্যাদায় পালন করতে শেখেনি। এমনই তৃণমূলের সংস্কৃতি। শুধু নাটক করে বেড়ানোই কাজ ওদের। গতকাল ঘাটালে একটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার সাংসদ দেব বলেছেন, মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হলেই নাকি ঘাটালের সব সমস্যার মিটবে। এগুলি নাটক ছাড়া আর নয়তো কী??”
তিনি আরও বলেন, যেখানে পুলিশ প্রশাসনের কর্তা, মন্ত্রীসহ অসংখ্য মানুষ রয়েছেন, সেখানে কীভাবে কোনোরকম নজর না দিয়ে উল্টো পতাকা তোলা হয়? এই ঘটনা মেদিনীপুরের জন্য কলঙ্ক। ওদের উচিৎ সবার সামনে ক্ষমা চাওয়া।”