Home রাজ্য ব’ন্দু’ক দেখিয়ে তো’লা’বা’জি’র চে’ষ্টা, পুলিশের জা’লে মেদিনীপুরের গু’ন্ডা মোটা রাজা

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব’ন্দু’ক দেখিয়ে তো’লা’বা’জি’র চে’ষ্টা, পুলিশের জা’লে মেদিনীপুরের গু’ন্ডা মোটা রাজা

আজকাল এমন সব ঘটনা ঘটে তা বলিউড অ্যাকশন ছবি নাকি আসল ঘটনা – কিছুই বোঝার উপায় নেই। মেদিনীপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ধর্মা থেকে কেরানচিটি এলাকায় এমনই এক সাংঘাতিক ঘটনা একটি ধাবার CCTV Footage-এ ধরা পড়েছে। তা সিনেমাকেও হার মানায়। যা দেখে হাড়হিম হয়ে যেতে পারে অনেকেরই।

শনিবার রাতে মেদিনীপুরের ধর্মার একটি ধাবার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতীদের হাঙ্গামা। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একজন প্রথমে ধাবায় ঢুকে ধাবার মালিকের খোঁজ করতে থাকে। সেই সময় ধাবার মালিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর পরিবর্তে ধাবার কর্মীর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয় দুষ্কৃতীদের। তারা প্রথমে মালিককে ফোন করতে বলে। কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়না তাকে। এরপর ধাবার কর্মীর কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা দাবি করে এক লক্ষ টাকা। এমনকি রবিবারের মধ্যে টাকা না দিতে না পারলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। চলতে থাকে ধাবার কর্মীকে মারধর। চালায় গুলিও। যদিও গুলি ওই ব্যক্তির গায়ে লাগেনি। পরিবর্তে জানলা দিয়ে তা বেরিয়ে যায়।

এরপরই নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাবার CCTV Footage সংগ্রহ করে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এলাকার ‘ত্রাস’ মোটা রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটা রাজার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সদ্যই সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল মোটা রাজা। তারপর নিজের অস্তিত্ব জাহির করতেই শুটআউটের ঘটনায় সে জড়িয়ে পড়ে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।

এখানেই শেষ নয়, শনিবার রাতে যমুনাবালির ধাবার আগে মাহাতাবপুর শ্মশান ঘাটেও গুলি চলে। এক যুবক তার আত্মীয়ের মরদেহ দাহ করতে অন্যান্যদের সঙ্গে শ্মশান ঘাটে এসেছিলেন। সেই সময় দু’টি মোটরবাইকে চড়ে চারজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। ওই যুবকের বুকে বন্দুক ধরে। কিন্তু সেই সময় রাস্তার উপর ঘটনাস্থলে একটি যাত্রীবাহী বাস চলে আসায় কোনরকমে যুবকটি দুষ্কৃতীদের ধাক্কা দিয়ে শ্মশানের ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশ জানিয়েছে ২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।