সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মমতার কে’ন্দ্রে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট, প্রচারের নি’য়’ম বেঁ’ধে দি’লো নির্বাচন কমিশন

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার রাজ্যে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেল। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। যদিও বিজেপি অবশ্য বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কথা তুলে উপ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছিল। তবে তৃণমূলের পাল্টা যুক্তি ছিল করোনার মধ্যেও যদি আট দফা নির্বাচন হতে পারে তাহলে উপনির্বাচনে আপত্তি কোথায়? নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে উপনির্বাচনে ঘোষণার পাশাপাশি নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি ব্যবহার এবং রোড শো করা যাবে এই দফার উপনির্বাচনে। স্ট্রিট কর্নার মিটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যাবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীসহ পাঁচ জন যেতে পারবেন। সিইও অনুমোদন দিলে ভিডিও ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে তবে সেখানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এক একটি কেন্দ্রে সর্বাধিক ২০ জন তারকাকে প্রচার এর জন্য ব্যবহার করা যাবে। তারকা প্রচারে সর্বাধিক ১০০০ জনের জমায়েত হতে পারবে।

যারা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন তারা এই ভোটের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ৭২ ঘন্টা সাইলেন্স পিরিয়ড রাখা হয়েছে। ভোটের দিন প্রার্থীর গাড়িতে সর্বাধিক পাঁচজন থাকতে পারবেন। সর্বমোট দুটি গাড়ি রাখা যেতে পারে প্রার্থীর সঙ্গে। ভোট গণনার পর বিজয় মিছিলের আয়োজন করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র এবং ভবানীপুরের ভোট গণনা হবে আগামী ৩রা অক্টোবর।

জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে ভোট গ্রহনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। অপরপক্ষে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়তে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিধায়ক পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হবে। তাই তৃণমূলের তরফ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন পুজোর আগেই ভবানীপুর এবং মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে। যদিও এখনো চারটি কেন্দ্রে নির্বাচন বাকি।